ফেনীর রাজাঝি দিঘীর পশ্চিম পাড়ে জনসম্মুখে শিয়ালের মাংস বিক্রির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (৩ মে ২০২৫) রাত ৮টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার এর নেতৃত্বে পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে এ রায় প্রদান করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন ওসমান গনি, পিতা- জয়নাল আবেদীন, গ্রাম- দক্ষিণ জয়লস্কর, থানা- দাগনভুঞা, জেলা- ফেনী।
অভিযান চলাকালে দেখা যায়, জনসম্মুখে কোনো প্রকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা সরকারি অনুমতি ছাড়াই শিয়ালের মাংস বিক্রি করছিলেন তিনি। বিষয়টি নজরে আসার পরই সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার জানান, “শিয়াল একটি বন্যপ্রাণী, যার মাংস বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জনস্বাস্থ্যের জন্য এটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১১ অনুসারে এ ধরনের কাজ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম এবং বহুসংখ্যক স্থানীয় জনগণ। অভিযানে উপস্থিত কর্মকর্তারা বলেন, পশুর মাংস বিক্রিতে সরকার নির্ধারিত নিয়ম-কানুন না মানলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, শিয়াল রোগবাহিত প্রাণী হিসেবে পরিচিত এবং এর মাংস মানবদেহে মারাত্মক রোগের উৎস হতে পারে। তদুপরি, শিয়াল বন্যপ্রাণী হওয়ায় এটি শিকার ও বিক্রিও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি জরিমানা অনাদায়ে অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হন, তবে তাকে অতিরিক্ত ৭ (সাত) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
প্রশাসন জানিয়েছে, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
পড়ুন: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ফেনীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
দেখুন: ১ হাজার টাকায় ফেনী ঘুরোঘুরি
ইম/