25.1 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

ফ্রান্সের সংসদে আস্থাভোটে সরকারের পতন

বুধবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার ফরাসি পার্লামেন্টে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েন। আস্থাভোটে সরকার ধরে রাখতে পারেননি তিনি। মাত্র তিন মাস আগে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৬২ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন হয়েছে। 

৫৭৭ পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে ৩৩১ জন তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে ভেঙে পড়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে মিশেল বার্নিয়ারকে।

মিশেল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর শিবিরের রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছিল, তা ছিল মাখোঁপন্থি সরকার। বুধবারের এই আস্থাভোটের পর এবার বামপন্থি দলগুলো মাখোঁর পদত্যাগ দাবি করতে শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য, এই ভোটে স্পষ্ট হয়েছে, মাখোঁর প্রতিও পার্লামেন্টের সমর্থন নেই।

গত ৫ সেপ্টেম্বর মিশেলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন মাখোঁ । ১৯৫৮ সালের পর এই প্রথম এত কম সময় কোনো ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকলেন।

কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী

ফ্রান্সের পার্লামেন্টে এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কোনো জোটের কাছেই সরকার গঠনের মতো যথেষ্ট আসন নেই। যার ফলে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পরিস্থিতির উদ্রেক হয়েছে। এদিকে গ্রীষ্মের আগে পুনরায় নির্বাচনের আয়োজনও সম্ভব নয়।

এই পরিস্থিতিতে যিনি ক্ষমতায় আসবেন তারও অবস্থা মিশেলের মতোই হবে। আস্থাভোট হলেই ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। অর্থাৎ, সবাই মিলে একটি সংখ্যালঘু সরকারের দায়িত্ব নিতে হবে। ফলে দ্রুত এই সঙ্কটের মীমাংসা হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। আর এই সমস্যার সমাধান না হলে ফ্রান্সের জন্য নতুন প্রধানমন্ত্রী পাওয়াও মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।

মাখোঁ অবশ্য খুব দ্রুতই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ভাষণ দেওয়ার কথা। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ফ্রেঞ্চ সময় অনুযায়ী রাত ৮টায় টেলিভিশনে ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট। বুধবারই তিনি সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন।

তবে মাখোঁ পরবর্তী কর্মসূচি কী ঘোষণা করবেন, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি প্রাসাদ।

দেখুন: ২ দিনের সফরে ঢাকায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ | Macron | France | BD | Nagorik TV

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন