০৮/১১/২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
26 C
Dhaka
০৮/১১/২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

ফ্রান্সে বিক্ষোভে ছুরিকাঘাতে নিহত এক, আহত তিন পুলিশ

ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলীয় নগরী মিলুজে একটি বিক্ষোভ চলাকালে ছুরি হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে ঘটনাটি ঘটে, যখন গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর সমর্থনে একটি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। ওই সময় পুলিশ কর্মকর্তারা বিক্ষোভস্থলে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে আলজেরিয়ার ৩৭ বছর বয়সী এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে, তবে ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হামলায় আহত তিন পুলিশ কর্মকর্তা দুজনের আঘাত গুরুতর। তাদের একজন গলায় এবং একজন বুকে ছুরির আঘাত পেয়েছেন।

ফ্রান্সে হামলার সময় ৬৯ বছর বয়সী এক পর্তুগিজ নাগরিক,

যিনি বিক্ষোভের দৃশ্য দেখতে এসেছিলেন, তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এই ব্যক্তি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। স্থানীয় প্রসিকিউটরের মতে, হামলাকারী আগে থেকেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সন্দেহভাজন হিসেবে নজরদারিতে ছিল এবং তার বিরুদ্ধে বিতাড়নের আদেশও দেওয়া হয়েছিল।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন এই হামলাকে ‘ইসলামিক টেরোরিস্ট অ্যাটাক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, নিঃসন্দেহে এই হামলা ‘ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের’ হামলা। 

ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী হামলার সময় “আল্লাহু আকবর” বলে চিৎকার করছিলেন, যা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি ইসলামপন্থি চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তদন্তে আরও জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত হামলাকারী ছিল একজন আলজেরিয়ান নাগরিক, যার বিরুদ্ধে আগে থেকেই সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে নজরদারি ছিল। এ ধরনের হামলাকে ফ্রান্সের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়াসলি নিচ্ছে এবং দেশের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্যক্রম আরও জোরদার করার জন্য তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এই হামলার ফলে ফ্রান্সের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন যে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্তির জন্য তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

মিলুজে এই হামলার ঘটনার পর অনেক স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী শহরজুড়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ এই হামলার ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত এবং তারা আশা করছেন ফ্রান্স সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

পড়ুন:ফ্রান্সের সংসদে আস্থাভোটে সরকারের পতন

দেখুন : ফ্রান্সে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধায় আলোচনা সভা |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন