এবছর শীতের সাথে ভাঙ্গতে পারে গরমের সব রেকর্ড। আবহাওয়াবীদদের মতে এবারও তীব্র খড়ার সাথে দেখা যেতে পারে তীব্র শীতের। অন্যদিকে বৃষ্টিপাতের সময় সীমা আরো পিছিয়ে যেতে পারে। হতে পারে অসময়ে বন্যাও।
গতবার বর্ষা এক অদ্ভুত আচরন দেখিয়ে গেছে। স্বাভাবিক সময়ের থেকে তিনমাস পর দেখা যায় বৃষ্টিপাত। অথচ ঐ সময়ে শীত পড়ার কথা ছিলো। ফলে শীত ও বর্ষার মাঝামাঝি ঝুলন্ত আবহাওয়া বিরূপ প্রভাব ফেলে প্রকৃতিতে। দেশে দেখা দেয় অসময়ে বন্যা।

আবহাওয়াবিদ বলছেন এল নিনো আর লা নিনোর প্রভাব সরাসরি না পরলেও বাংলাদেশের উপর রয়েছে সামষ্টিক প্রভাব। যার ফলে আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণ। এবার আরো অস্বাভাবিক হতে পারে।
শুরুর তিনমাস লা নীনো সক্রিয় থাকতে পারে। বছরের বাকী সময় এর প্রভাব থাকবে না। বরং সক্রিয় থাকবে এল নিনো। ফলে নতুন বছরে বন্যা,খড়া ও বৃষ্টির তীব্রতা বেশি থাকবে। তবে পরিবর্তন হতে পারে সময় সীমার।
প্রতিবার আবহাওয়ার আচরণের এমন পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে টেকসই অভিযোজন প্রক্রিয়া নিয়ে ভাবার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের এ অঞ্চলে এল নিনোর প্রভাবের ফলে তাপ বেশি এবং বৃষ্টিপাত কম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর লা নিনো ভারী বৃষ্টির ইঙ্গিত দেয়। আবার শীতে ঠান্ডাও আনে।
এনএ/