নিউজিল্যান্ডের একটি আদালতে অভিবাসন ও পরিচয় জালিয়াতির ৪০টি অভিযোগে এক বাংলাদেশি দম্পতি, জাহাঙ্গীর আলম এবং তার স্ত্রী তাজ পারভিন শিল্পী, দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তারা পরিবারের এক সদস্যের পরিচয় ব্যবহার করে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ, কাজ পাওয়া এবং নাগরিকত্ব অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী জালিয়াতি করেছিলেন। নিউজিল্যান্ড ইমিগ্রেশনের ছয় বছরের তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আজ সোমবার (২৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।
দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড জানিয়েছে যে, অকল্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ১৩ দিনের জুরি বিচারের পর গত শুক্রবার (২১ মার্চ) আদালত এই দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে। শুনানিতে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম তার ভাইয়ের পরিচয়ে ভিজিটর ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট, রেসিডেন্স ভিসা এবং নাগরিকত্বসহ দুটি পাসপোর্ট পান। একইসঙ্গে, এই জাল পরিচয় ব্যবহার করে তার স্ত্রী এবং মায়ের জন্য মোট ১৫টি ভিসা ও অভিবাসন পারমিটের আবেদন জমা দেন।
দম্পতি জানতেন যে তারা ভুয়া তথ্য ব্যবহার করছেন এবং ইমিগ্রেশনে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করেছেন।
নিউজিল্যান্ড ইমিগ্রেশনের জেনারেল ম্যানেজার স্টিভ ওয়াটসন বলেন, এই ধরনের অপরাধ অভিবাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তিকে আঘাত করে এবং এটি আইনত অপরাধ। মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
ওয়াটসন আরও উল্লেখ করেন, এই তদন্ত অত্যন্ত জটিল ছিল এবং নিবেদিত তদন্ত দলের কঠোর পরিশ্রমের জন্য তিনি গর্বিত। ছয় বছরের তদন্ত শেষে অপরাধটি চিহ্নিত করে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
এনএ/