25.1 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ

ঢাকার বনানী এলাকায় সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নারী পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তার সহকর্মী সুমাইয়া আক্তার। এ ঘটনায় প্রতিবাদ হিসেবে পোশাকশ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বনানী, মহাখালী ও গুলশান এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

নিহত পোশাকশ্রমিকের নাম মিনারা আক্তার এবং আহত সুমাইয়া আক্তারকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল সরকার জানান, মিনারা আক্তার রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। দুর্ঘটনার পর থেকেই শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।

এ ঘটনায় এক্সপ্রেসওয়ে এবং আশপাশের সড়কগুলোতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দুইটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা এই আন্দোলন করছেন, যা মূলত বিমানবন্দর সড়ক এবং এক্সপ্রেসওয়ের ওপর অবস্থান নিয়ে শুরু হয়েছে। গার্মেন্টস কর্মীদের এই প্রতিবাদে সড়ক চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে মহাখালী, বনানী, গুলশান, কাকলি এলাকাগুলোতে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

ডিএমপি ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, “শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বিকল্প সড়ক ব্যবস্থার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু গাড়ি ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে, কিছু গাড়ি রামপুরা রোড ও প্রগতি সরণি দিয়ে চলাচল করছে।”

থানার ডিউটি অফিসার এসআই জুয়েল জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং সড়কটি বন্ধ রয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গুলশান বিভাগের ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ তাদের ফেসবুক পেজে জানায়, দুর্ঘটনায় কোন গাড়ি যুক্ত ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে শ্রমিকরা রাস্তার দুই পাশে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তাটি অবরোধ করেছেন। এমনকি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।

এদিকে, পুলিশ বনানী-কাকলী ক্রসিং ও মহাখালীর আমতলী ক্রসিং হয়ে যানবাহনগুলোকে ঘুরিয়ে চলাচল করাচ্ছে। পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

পড়ুন: নেত্রকোনায় টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগ, তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন

দেখুন: বনানী দুর্ঘটনা |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন