চট্টগ্রাম বন্দরের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডেলিভারি না দিলে, চারগুণ মাশুল আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অনিয়ম ও মজুতদারি রোধে এই উদ্যোগ প্রশংসিত হলেও, ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রতিটি শেডের সামনে শত শত কোটি টাকার আমদানি করা পণ্য পড়ে আছে। আমদানির চার দিনের মধ্যে এসব পণ্য ছাড় করে নেয়ার কথা থাকলেও তা মানা হয় না।
রমজানে আমদানি বাড়ায় বন্দরে কাঁচামালসহ পণ্য জমে আছে। এ সুযোগে, কিছু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও দাম বাড়াতে পন্য খালাসে দেরি করছেন। এতে ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম। তাই অসাধু মজুতদারি ঠেকাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, বেশিরভাগ কন্টেইনারেই গার্মেন্টসের কাঁচামাল রয়েছে। চারগুণ মাশুল আদায় করলে, শিল্প খাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মত তাঁদের।
রমজানে ভোগ্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি রোধে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ ।
শেডে কোটি কোটি টাকার পণ্য পড়ে থাকলেও, চার দিনের মধ্যে ছাড় নেয়ার নিয়ম মানা হচ্ছে না। ঈদের পর পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার দাবি বন্দর ব্যবহারকারীদের।
পড়ুন : ‘নীরব এলাকা’ বিমান সরবেই বাজছে হর্ন
দেখুন : চট্টগ্রাম পাকিস্তানের জাহাজের দাপট বাড়ছে, কী ভাবছে ভারত? |
ইম/