যাত্রীদের সেবার বদলে পিঠিয়ে রক্তাক্ত করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আবার কখনো লাঠি নিয়ে তেড়ে আসাসহ অমানবিক নানা ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেছে।
অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ শাসনামলে নিয়োগ প্রাপ্ত গুটিকয়েক কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটছে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা। এমনকি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও মন্ত্রীদের বিমানবন্দর ব্যবহার করে দেশ ত্যাগ করতে সহায়তা করার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাটিকে ঘিরে বাড়ছে অরাজকতা, ক্ষোভ আর বিতর্ক। ৫ আগস্টের পর বিমানবন্দরের ভেতরে সিএনজি ড্রাইভারকে মারধর, যাত্রীর স্বজনদের হেনস্থা এবং যাত্রীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা জনমনে ভীতি তৈরি করেছে।
অতিসম্প্রতি এখানে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অমানবিক ও বিতর্কিত ঘটনা দেশে ও প্রবাসে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। বিশেষ করে প্রবাসীদের ভিআইপি মর্যাদা দেয়ার প্রতিশ্রুতির বদলে এমন অমানবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

অভিযুক্তদের মধ্যে শীর্ষ দুই কর্তা হলেন বিমানবন্দরের সার্বিক দায়িত্বে থাকা নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম ও এভিয়েশন সিকিউরিটির প্রধান উইং কমান্ডার জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই প্রবাসী লাউঞ্জ তৈরি করা হয়। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ দুই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে সত্যি কী প্রবাসের সুর্য সন্তানরা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন? আর প্রবাসে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় এবং বিমানবন্দরের সুনাম ফেরাতে কোনো পদক্ষেপ কি নেবে অন্তর্বর্তী সরকার?
এনএ/