বাংলাদেশ কুয়েতের বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র। কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষাসহ নানা বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে সহযোগীতা আন্ত:রাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ নজির স্থাপন করেছে। বিদেশি মানব সম্পদ নিয়োগের ক্ষেত্রে কুয়েতে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান তৃতীয় বৃহত্তম। অদূর ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়। কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিগণ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় বাংলাদেশ-কুয়েত সম্পর্কের শেকড় গভীরে প্রোথিত। ইরাকি আগ্রাসী বাহিনী কর্তৃক কুয়েত দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাহিনীর সাথে কুয়েতের জনতার পাশে দাঁড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অকুতোভয় সদস্যগন। বিজয়ের ধারাবাহিকতায় কুয়েত পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে ‘অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠন (ওকেপি)’ নামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কোর এবং বাংলাদেশ নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ মিলিটারী কন্টিনজেন্ট (বিএমসি) সাহসিকতাপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ার্স, সিগনালস, পদাতিক, ইএমই, অর্ডন্যান্স, মেডিক্যালসহ বিভিন্ন কোর এর সেনাসদস্যদের এবং নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে ১২টি কন্টিনজেন্টের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার সদস্য বিএমসি-তে নিয়োজিত রয়েছেন এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলছেন।
বর্তমানে কুয়েতে প্রেষণে নিয়োজিত সেনা চিকিৎসক লে. কর্নেল নাজমুল হুদা খানের লেখা ‘কুয়েত ও কায়া কথা’ নামের বইটিতে বন্ধু রাষ্ট্র কুয়েতের ইতিহাস, সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা, আকর্ষণীয় স্থাপনা ও স্থান; কুয়েতে বাংলাদেশি প্রবাসি ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যের ভূমিকার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। বইটিতে কুয়েতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা; বাংলাদেশিদের মধ্যপ্রাচ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য বিষয়ও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
নি:সন্দেহে বইটি বাংলা ভাষাভাষীদের এ সংক্রান্ত বিষয়ে জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং দুই দেশের বন্ধুত্বের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে বলে শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন, ওএসপি, এডব্লিউসি, পিএসসি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য লেঃ কর্নেল নাজমুল হুদা খানের এ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত।
বইটি চৈতন্য প্রকাশনীর এবারের বইমেলার ৬০৭-৬০৮ নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। কুয়েতে প্রবাসি সম্মানিত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যগণ এ উদ্যোগের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। কুয়েতে বসে এদেশকে নিয়ে নিজ মাতৃভাষা বাংলায় লেখা বইটির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কুয়েতের বিভিন্ন শ্রেণীর বাংলাদেশি প্রবাসিবৃন্দ।
বইটির লেখক লে. কর্নেল নাজমুল হুদা খানের লেখা বেশ কয়েকটি বই ইতিপূর্বে প্রকাশিত হয়েছে।
এনএ/