গত ৩০ বছরে এত ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়েনি পূর্বাঞ্চলের মানুষ। তাই দেশের উত্তরের জনপদের তুলনায় তাঁদের কষ্ট আর ভোগান্তিও হচ্ছে বেশি। ১১ জেলায় আকস্মিক এই বন্যায় এবার ৩১ জনের প্রাণ গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮ লাখ মানুষ আছেন, খাবার ও সুপেয় পানির স্বল্পতায়।
প্রতিদিনের কর্মচাঞ্চল্যে মুখর পথঘাট, হাট-বাজার আজ বানের জলে থইথই। কেউ বাড়ি ছেড়ে গেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে, কেউ আবার উঠেছেন ছাদে। আকস্মিক বন্যার কবলে পড়া, দেশের ১১ জেলার মানুষের জীবনের সবটাই এখন এলোমেলো।
দেশের আধা কোটিরও বেশি মানুষ এই আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। বিনষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লা-এই চার জেলার বানভাসি মানুষ বেশি দুর্ভোগে। তারপরও স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নানাবিধ অনিরাপত্তার মাঝেই, জীবন স্বাভাবিক করার প্রয়াসে ব্যস্ত তারা।
নোয়াখালীতে পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। জেলা সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় গত ২৪ ঘন্টায় পানি বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত সোনাইমুড়ী, সেনবাগ ও চাটখিল উপজেলাসহ ৬ উপজেলার পরিস্থিতি।
কুমিল্লায় গোমতীর পানি বিপদসীমার নিচে নামতে শুরু করলেও, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোটের পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছে। ফলে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে চাপ বেড়েছে। দুর্গত এলাকায় বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুরে বেসরকারি পর্যায়ে সামান্য ত্রাণ পেলেও সরকারি ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়ের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া উপজেলায় কোথাও কোথাও এখনো পানি রয়েছে।
বন্যায় অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ত্রাণবাহী যানের চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।