উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে স্বল্পমেয়াদী বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের উত্তর-পূর্ব, উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা। এসব অঞ্চলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। পাঠদান বন্ধ রয়েছে হাজার খানেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
চলতি মাসের শুরুতে ভারত থেকে নেমে আসা উজানী ঢল আর টানা ভারী বৃষ্টিপাতে স্বল্পমেয়াদী বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে হয়ে পড়েছে দেশের অন্তত দশটি জেলা। এতে বন্যায় পানিবন্দি রয়েছেন লক্ষাধিকের বেশি মানুষ। পাঠদান বন্ধ রয়েছে হাজারের কাছাকাছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, কুশিয়ারা। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে বলছে জুলাইয়ের শেষ ভাগে আবারও হতে পারে মধ্যমেয়াদী বন্যা।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দূর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্রমেই অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোণা, শেরপুর, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ।
বন্যা দুর্গত এসব জেলায় প্রায় এক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে। এরমধ্যে কেবল সুনামগঞ্জেই বন্ধ রয়েছে ৫ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্যায় নষ্ট হচ্ছে খেতের ফসল। বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে থাকায় নিদারুণ কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ।
উজানের ঢলে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ছুইছুই করছে বিপৎসীমা। পানির চাপ সামলাতে ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে বলে জানায় কতৃপক্ষ। বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কুশিয়ারা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি।
তবে সিলেটে বৃষ্টিপাত কিছু কম থাকায় জেলার নদ-নদীর ১১ পয়েন্টের মধ্যে ৯টি পয়েন্টে পানি কমেছে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর মধ্যাঞ্চল এবং উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে জুলাইয়ের শেষ দিক আবারও বড় ধরনের বন্যা হতে পারে।