বন্যায় ঝুঁকিতে পড়েছে গর্ভবতী নারীরা। পানিতে জীবনের হুমকি, অনাগত সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখবে কিনা তা নিয়েই ছিলো দুশ্চিন্তা। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার এমন ১৮ নারীকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে মারা যায় দুই নবজাতক।
জাকিয়ার ঘরবাড়ি বন্যায় বিপর্যস্ত, কোথায়ও যাবার উপায় নেই। ডুবেছে জন্মভূমি ছাগলনাইয়া। হাসপাতালে মোমবাতি জ্বালিয়ে চলছে চিকিৎসা। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। এমন পরিস্থিতিতে উঠে তার প্রসব বেদনা।
নির্মম বাস্তবতায় জাকিয়া ভেবেছিলো অনাগত সন্তান হয়তো পৃথিবীর মুখ দেখবে না। জাকিয়ার বাবা জানতে পারে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার গুরুতর রোগীদের নিয়ে যাচ্ছে ঢাকাতে।
পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আলোর মুখ দেখলো তার ফুটফুটে কন্যা সন্তান।
হাসপাতালটির পরিচালক বলেছেন, জাকিয়ার মতো এমন আরো ১৭ জনকে হেলিকপ্টার যোগে আনা হয় ঢাকার এই হাসপাতালটিতে।
তবে সবার ভাগ্য জাকিয়ার মতো নয়। কিছু গল্প খুব নির্মম। তেমন রাশেদা আক্তারও। দরিদ্র রাশেদা প্রসব বেদনা নিয়ে যখন ছাগলনাইয়া সরকারি হাসপাতালে আসছিলেন চোখের সামনে দেখেছেন ঘরবাড়ি ডুবতে। সন্তান প্রসব করলেও, ছিলো মূমুর্ষ।
রাশেদা হারিয়েছেন সন্তান, বন্যা কেড়েছে ঘরবাড়ি। খোঁজ নেন না সিনজি চালক স্বামী। নি:স্ব রাশেদার এখন আশ্রয় বড় বোন।
রাশেদারা হয়তো বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাড়াবে। তবে দুর্গতদের জন্য প্রয়োজন সমাজ, রাস্ট্র এবং বিত্তশালীদের সহযোগিতা।