স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনী-নোয়াখালীসহ দেশের আট জেলা। ভারত থেকে আসা অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে হচ্ছে। মানবিক বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে এসব জেলার মানুষ। অন্তত সাড়ে ১৮ লাখ মানুষ বিপদগ্রস্ত। এছাড়াও কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলেও প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা।
ফেনী শহরসহ জেলার সব কটি উপজেলা এখন পানির নিচে। ঘর বাড়ি, ফসলি জমি, পুকুর পানিতে নিমজ্জিত। ক্রমাগত বাড়ছে পানি। বিদ্যুৎবিহীন অনেক এলাকা। দুর্গম এলাকায় আটকা পড়েছে বহু মানুষ।
কুমিল্লার গোমতী নদী। সকাল থেকে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ৬০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কায় বাসিন্দারা। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা—চট্টগ্রাম মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সড়কে যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
ভারত থেকে আসা ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিতে নোয়াখালীর ৮ উপজেলা প্লাবিত। বিদ্যুৎহীন হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কয়েকটি এলাকা। টানা বর্ষণে ও মেঘনা নদীর জোয়ারে পানি জমে লক্ষ্মীপুরের সর্বত্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম নগর। বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। উজানের ঢলে প্লাবিত হয়েছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলাও।
এছাড়াও মৌলভীবাজারের সাত উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়নের ২১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হবিগঞ্জের, খোয়াই নদী, কুশিয়ারা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।