ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনী-নোয়াখালীসহ দেশের দশ জেলা। চার জেলায় অন্তত আটজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পানিবন্দি ৩৬ লাখেরও বেশি মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত এসব জনগণের জন্য জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই বলেছিলো, দেশের উত্তরা, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে। ভারত থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিতে করাল রূপ নিয়েছে বন্যা।
নদনদীর পনি উপচে পড়ছে। পানির প্রবল তোড়ে ভেসেছে লোকালয়, সড়ক, ফসলি জমি। ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে বন্যাদুর্গত জেলার মানুষগুলো।
বন্যাকবলিত মানুষের জীবন রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে, আজ জানিয়েছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
বিশেষজ্ঞরা বলেছে, বন্যার উৎপত্তিস্থল পাহাড়ি এলাকা, ভারতের পাড় ও পাহাড়ের ঢল দিয়ে খুব দ্রুত পানি বাংলাদেশে নেমে আসে। যার ফলে খুবই দ্রুত এলাকাগুলো বন্যায় কবলিত হয়।
পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দিতে মোট ২ হাজার ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ফেনী বা কুমিল্লা অঞ্চলে ভারী বর্ষণের প্রবণতা আগামীকাল বিকেল থেকে কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ।