তিন দফার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সুনামগঞ্জের লাখো মানুষ। সব হারিয়ে দিশাহারা দুর্গতরা। এক মাসের স্থায়ী বন্যায় মৌলভীবাজারের দূর্গত এলাকায় বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। দেশজুড়ে বন্যার পানি কমেছে তবে ভোগান্তির সঙ্গে বেড়েছে অভাব।
গত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়নি। সুরমা কুশিয়ারাসহ সবকটি নদী নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচে। বন্যায় পানিবন্দী হয়েছিলেন জেলার ৯ লাখ মানুষ।
জেলা সদরসহ ১২টি উপজেলায় সরকারের তরফ থেকে বন্যার্তদের জন্য চাল, শুকনো খাবার, শিশু ও গোখাদ্য নগদটাকা ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। এখনো ৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৬৮১ জন বন্যার্ত মানুষ রয়েছেন।
বন্যায় মৌলভীবাজারের দূর্গত এলাকায় বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। নিয়মিত পেট ব্যথা, ডায়রিয়া ও জ্বরে ভুগছেন পানিবন্দি মানুষ, দেখা দিচ্ছে নানান চর্মরোগও।
চিকিৎসকরা বলছেন, পানিবাহিত রোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি আছে। তবে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এদিকে মৌলভীবাজার জেলায় গত কিছুদিন ধরে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো জেলায় দুই লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি। আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন প্রায় ৪ হাজার মানুষ।