দেশের পূর্বাঞ্চলের বেশিরভাগ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে পানি নামছে ধীর গতিতে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। যোগাযোগ সহজ এমন জায়গাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছালেও দুর্গম এলাকায় পৌঁছাচ্ছে না। এতে চরম বিপাকে সেসব এলাকার মানুষ।
বৃষ্টি ও ভারতের পানির ঢলে দেশের ১১টি জেলায় বন্যার কবলে অর্ধকোটির বেশি মানুষ। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লা-এই চার জেলার বানভাসি মানুষ বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এসব জেলায় পানি নামছে ধীরগতিতে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বন্যার্ত মানুষের বিপরীতে বরাদ্দকৃত ত্রাণের পরিমাণ কম।
গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ভারী বর্ষণে পানি আরও ৬ ইঞ্চি বেড়ে গেছে। ফলে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সমন্বয়হীনতার কারণে দুর্গত সবার কাছে সমানভাবে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না।
কুমিল্লার গোমতীর পানি বিপদসীমার নিচে নামতে শুরু করলেও মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ফলে আশ্রয় কেন্দ্রে বেড়েছে মানুষের চাপ। খাদ্য সংকটে হাহাকার পরিস্থিতি।
লক্ষ্মীপুরে বেসরকারি পর্যায়ে সামান্য ত্রাণ পেলেও সরকারি ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়ের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া উপজেলায় কোথাও কোথাও এখনো পানি রয়েছে। তবে ভোগান্তি কমেনি। দুর্গম এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ না পৌঁছানোর অভিযোগ রয়েছে।
বন্যায় অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে খুবই ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। সড়কে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। তাই পথেই আটকে আছে অনেক ত্রাণবাহী যান।