বন্যায় ৮ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। এর মধ্যে শুধু ফেনীতে মারা গেছেন ১৭ জন। ফেনী, নোয়খালী, কুমিল্লা ও চাঁদপুর অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। ঘর-বাড়ি বসবাসের উপযোগ হয়নি। দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্তরা।
গেল কয়েকদিনে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ও ভারত থেকে পানি বেশি না আসায় কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো জেলায় ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী। আশ্রয় কেন্দ্রে আছে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।
লক্ষ্মীপুরেও বেশির ভাগ এলাকায় কমেছে পানি। তবে টানা এক সপ্তাহ ধরে পূর্ব স্বরসীতা, চর বাদাম, পোরাগাছা, আজাদনগর, হারুন বাজার, হাজীগঞ্জ গ্রাম জলমগ্ন।
ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এসব এলাকার আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরছে মানুষ। তবে ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলায় বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি, নেই মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক।
নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে প্রত্যন্ত এলাকায় খাদ্য সংকট রয়েছে। পাশাপাশি জেলার বন্যা কবলিত বেশ কিছু এলাকায় ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
বৃষ্টি না হলে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বন্যার পানি নেমে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ব্যাপক সহায়তা কার্যক্রমের প্রয়োজন হবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।