ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর অঞ্চলে বন্যার তীব্রতা কমেছে। এখনো রয়ে গেছে জলাবদ্ধতা। তাই, মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। দুর্গম এলাকা থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা না পৌঁছানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্লাবিত ১১ জেলায় এখনো পানিবন্দি ১০ লাখের বেশি পরিবার।
কুমিল্লায় নদীর পানি কিছুটা কমলেও ধীরগতিতে নামছে লোকালয়ের পানি। তবে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোটে ত্রাণ সংকটে বানভাসিরা।
ফেনীতে তিন দিন পর বিভিন্ন এলাকায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। সুপেয় পানি ও খাবারসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা না পাওয়ার কথা বলছেন স্থানীয়রা। ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পাড়ঘেঁষা গ্রামগুলো এখনো ডুবে আছে।
নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি নতুন করে দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে কয়েকটি উপজেলায়। শনিবারের রাতে বৃষ্টি হওয়ায় জেলার কিছু এলাকায় আবারও বেড়েছে পানি। সেই সাথে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের জলযানের অভাবে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না।
এদিকে চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, সুনামঞ্জ ও হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। লোকালয় থেকে নামছে পানি। দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের ত্রিপুরায় ভারি বৃষ্টিপাত দেখা যায়নি। ফলে বন্যার পানি কমার আশা করা হচ্ছে।