বরগুনার আলোচিত অনিক হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মো. সালাউদ্দিন গাজীকে এক যুগ পরে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। শনিবার (২৪ মে) বেলা ১১টার দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৩ মে) রাতে বরগুনার তালতলী উপজেলার ফকিরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সালাউদ্দিন গাজী বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামের ছত্তার গাজীর ছেলে।
২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর বরগুনা পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়কের সুবল চন্দ্র রায়ের ছেলে অনিককে (১৮) কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে ডিশ লাইনের তার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয়। ১৮ দিন পর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পুরাতন ভবনের পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় নিহত অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায় মো. সালাউদ্দিন গাজীসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ মামলার রায় প্রদান করেন। রায়ে সালাউদ্দিন গাজীকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। একই সাথে দুই আসামীকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়। রায়ের আগে থেকেই মামলার ১ নম্বর আসামী পলাতক ছিলো।
নিহত অনিকের বাবা ও মামলার বাদী সুবল চন্দ্র রায় বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারী এতদিন পালিয়ে ছিলো। পুলিশ আজ তাকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। আমি আদালতের কাছে প্রার্থনা করি রায় অনুযায়ী দ্রæত যেন এই নরপিচাশের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, হত্যাকান্ডের পরপরই এই মামলার ১ নম্বর আসামী সালাউদ্দিন গাজী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে ছিলো। সম্প্রতি তিনি দেশে আসলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পড়ুন: বরগুনার আদালতে শম্ভুর জামিন নামঞ্জুর, জেল হাজতে প্রেরণ
দেখুন: বরগুনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ময়লা আবর্জনায় অস্বাস্থ্যকর
এস