“আছিয়ার মত মন্টু দাসের হত্যার বিচার হতে হবে এবং আমার বোনের ধর্ষিতার বিচার হতে হবে। নইলে, থেকে ঢাকা আমরা সমস্ত হিন্দুরা রাস্তায় নেমে যাবো। ৭২ ঘন্টা সময় দিচ্ছি, এই ৭২ ঘন্টার মধ্যে সকল আসামীকে ধরতে হবে নইলে, আমরা প্রেসক্লাবসহ ঢাকা শহরে সকল হিন্দুরা নেমে যাবো।” আলোচিত মন্টু দাস হত্যা ও তার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় নিহতের বাড়ি পরিদর্শনে এসে কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দেব রায় জয়।

বরগুনা শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে নিহত মন্টু দাসের শোকাহত স্বজনদের সহমর্মিতা ও সহযোগিতা করতে তার বাড়িতে আসেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি,
বাংলাদেশ মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ সম্পাদক অপর্ণা রায় দাশ, পুজা উদযাপন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সমির চন্দ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দেব রায় জয়সহ সংগঠনটির দেশের বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ।
এসময় পূজা উদযাপন ফ্রন্টের এই নেতা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরো বলেন, অতি দ্রুত আসামীকে ধরবেন এবং সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। এসময় সাংগঠনিক সম্পাদকের বক্তব্যের সাথে একমত পোষন করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করেন।
পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাশ বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। তার (তারেক রহমান) পক্ষ থেকে কিছু কাপড় চোপড়, খাবার ও আর্থিক অনুূান নিয়ে এই পরিবারটিকে সহমর্মিতা জানাতে এসেছি।
তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরো বলেন, বিএনপি আপনাদের পাশে আছে। মাগুরায় নিহত আছিয়া ও মন্টু দাসের ধর্ষিতা মেয়েকে নিজের সন্তান দাবী করে দেশের সকল ধর্ষিনের ঘটনার বিচার চেয়ে মেয়ের ধর্ষণ ও বাবা মন্টু দাস হত্যা মামলার বিচার দ্রুত সময়ে মধ্যে শেষ করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি।
পরে নিহত মন্টু দাসের স্বজনদের সাথে দেখা করে ও ঘটনার বিবরণ শুনে কান্নায় ভেঙে পরেন অপর্ণা রায় দাশ।
উল্লেখ্য, সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ের ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনা থানায় মামলা দায়ের করার ৬দিন পরে গত ১১ মার্চ মঙ্গলবার গভীর রাতে নিজ বসত ঘরের পিছন থেকে বাবা মন্টু দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মুরগীর দোকানের কর্মচারী নিহত মন্টু দাস বরগুনা পৌর শহরের কালিবাড়ি কড়ইতলা এলাকার মৃত যগেশ্বর দাসের ছেলে। ধর্ষণের সহায়তায় ধর্ষণকারী সিজিবের বাবা শ্রীরাম চন্দ্র রায় (ছিদাম), আসলাম ওরফে কালু ও রফিকুল ইসলাম রফিক নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মন্টু দাস হত্যা মামলায় শোন এ্যারেষ্ট দেখিয়ে এই তিন আসামীর বিরুদ্ধে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরুনঃ ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ
দেখুনঃ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ময়লা আবর্জনায় অস্বাস্থ্যকর |
ইম/