বরিশাল আদালতের সামনে মারধরের ছবি তুলতে গেলে ২ সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢীর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী স্থানীয় পত্রিকার ফটো সাংবাদিক এন আমিন রাসেল ও মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে আদালতে যান। সেখানে একটি মামলার আসামীদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে তারা সেখানে গিয়েছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। ছবি তুলে যখন মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে আসছিলাম আদালত থেকে, তখন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায় ছাত্রদলের সোহেল রাঢ়ি ও তার দলবল। এসময় তারা তাদের আওয়ামী লীগের ট্যাগ দেয়। একপর্যায়ে তাদের মোটরসাইকেলটি আগুনে পুড়িয়ে দেয় ছাত্রদলের নেতারা। এসময় সোহেল রাঢ়ীর সাথে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি আলমাস, বরিশাল জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, রাজিব আহম্মেদ, সদস্য জুয়েল শেখ, নাঈম, জাহিদ, শাওন, শাহিন সহ ২০/২৫ জন।

হামলার খবর ছড়িয়ে পরলে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করেন। আদালতের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।
পরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর আশ্বাসে সড়ক অবরোধ থেকে সরে দাঁড়ায় সাংবাদিকরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢী। তিনি জানান, যারা এসব কথা বলছেন তারা মুলাদী আওয়ামী লীগের নেতা আব্বাসের লোক। তাছাড়া কোনো মোটরসাইকেল পোড়ানোর কথা জানেন না তিনি।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান জানান, পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পড়ুন: বরিশালে সেনা সদস্যকে অপহরণ করে নির্যাতন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলায় গ্রেফতার ৩
দেখুন: বরিশালে অবরুদ্ধ নাহিদ পুলিশের সহায়তায় মুক্ত
ইম/