শারজায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিয়ে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান।
নবীকে তাসকিন আউট করলে নতুন ব্যাটার রশিদ খান মেরে খেলার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু ১৯তম ওভারেই নতুন ব্যাটারকে গ্লাভসবন্দি করান মোস্তাফিজ। তাতে রশিদ আউট হন ৪ রানে।
ডেথে এসে হাত খুলেছিলেন মোহাম্মদ নবী। তার ব্যাটেই স্কোরটা বড় করার স্বপ্ন দেখছিল আফগানিস্তান। ২৫ বলে ৩৮ রান করা নবীকে ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। অবশ্য আউট হওয়ার আগে একই ওভারে দুটি ছক্কা মারেন নবী। তার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ৪টি ছক্কা।
সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে একপ্রান্ত আগলে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন গুরবাজ। শুরু থেকে চড়াও হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। ওমরজাইয়ের সঙ্গে জুটি গড়ার পর নবীর সঙ্গে মিলে যোগ করেন আরও ২২ রান। ১৪.৫ ওভারে গুরবাজকে ক্যাচ আউট করেছেন তানজিম হাসান। তাতে ৯৫ রানে পড়েছে ষষ্ঠ উইকেট। গুরবাজ ৩১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় করেছেন ৪০ রান।
৪০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আফগানদের ব্যাটিংকে গতিময় করার চেষ্টা করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। পঞ্চম উইকেটে ৩৩ রান যোগ করেন তারা। দলের ৭৩ রানে ওমরজাইকে তালুবন্দি করিয়ে এই জুটি ভেঙেছেন রিশাদ হোসেন। ওমরজাই ১৮ বলে করেছেন ১৮ রান।
আফগানদের শুরুতেই চেপে ধরা বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেট পেতেও সময় লাগেনি। পাওয়ার প্লের পরের ওভারে আক্রমণে এসেই উইকেট তুলে নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। তার ঘূর্ণিতে ১ রানে ক্যাচ দেন নতুন ব্যাটার মোহাম্মদ ইশাক।
পাওয়ার প্লেতেই আফগানদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনারকে দুই ওভারে ফেরানোর পর ষষ্ঠ ওভারে নতুন ব্যাটার রাসুলিকেও রানআউটে ফিরিয়েছে তারা। তাতে ৩১ রানে তৃতীয় উইকেটের পতনে চাপে পড়েছে আফগান দল। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে আফগান দল ৩ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে ৩৩ রান।
নাসুমের আঘাতের পরের ওভারে টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার সেদিকুল্লাহ অটলও। ১০ রানে তানজিম হাসান সাকিবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। তাতে পাওয়ার প্লেতেই ৩১ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করছিলেন দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও সেদিকুল্লাহ অটল। চতুর্থ ওভারে ২৫ রানের শুরুর জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। তার দারুণ ঘূর্ণিতে ১৫ রানে বোল্ড হন ইব্রাহিম। তার ১০ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার।
পড়ুন :টসে হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে রয়েছেন যারা

