বাংলাদেশি নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য খেলাধুলার পরিসর ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কাতার ফাউন্ডেশন। কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে গতকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল ও ক্রিকেট দলের চার খেলোয়াড়—ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা—উপস্থিত ছিলেন। তারা তাদের পেশাগত চ্যালেঞ্জ, সীমাবদ্ধতা ও স্বপ্নের কথা সরাসরি তুলে ধরেন শেখা হিন্দের কাছে। কাতারের সাবেক ক্রীড়াবিদ ও বর্তমান কাতার ফাউন্ডেশনের প্রধান হিন্দ তাঁদের কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং নারী ক্রীড়ার উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দেন।
এই ফাউন্ডেশন নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সম্মেলন কক্ষ ও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করবে। এ ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত নারী ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যা কাতার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে।
বৈঠকের পর নারী ক্রীড়াবিদরা নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে জানান, এ ধরনের সহযোগিতা নারীদের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করবে। অধিনায়ক আফিদা খন্দকার বলেন, “কাতার সফরে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে তুলে ধরা। কাতারের মতো দেশে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে আমরা আশাবাদী হয়েছি।”
ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা বলেন, “এই প্রথম একজন সরকারপ্রধান আমাদের নিয়ে এমন গুরুত্ব সহকারে ভাবছেন। হিন্দ আপা আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন, এমনকি আবেগাপ্লুতও হয়েছেন।”
ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার বলেন, “কাতারে এসে আমরা বুঝেছি এখানে খেলার সুযোগ-সুবিধা কতটা উন্নত। আমরা চাই বাংলাদেশেও এমন সুযোগ তৈরি হোক।”
ক্রিকেটার শারমিন সুলতানা বলেন, “আমরা হিন্দ আপার কাছে মেডিকেল সাপোর্ট চেয়েছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন এবং সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের নিজেদের মাঠ, প্র্যাক্টিস ফ্যাসিলিটিজ, এবং স্পন্সর প্রয়োজন। এগুলো ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
এই বৈঠকের মাধ্যমে নারী ক্রীড়ার উন্নয়নে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি সম্ভাবনাময় সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কাতার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে বলে আশাবাদী ক্রীড়াঙ্গনের সংশ্লিষ্টরা।
পড়ুন: ২২ বাংলাদেশিসহ ৫০ অভিবাসীকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
দেখুন: নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানাধীন বাড়িতে আগুনের রহস্য কী ? |
ইম/