23 C
Dhaka
বুধবার, নভেম্বর ৬, ২০২৪
বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থ-বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী চীন

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে সোলার প্যানেলে বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী চীন।

গতকাল বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই একথা জানান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ড. ইউনূসকে ‘চীনের জনগণের পুরোনো বন্ধু’ উল্লেখ করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনার (ড. ইউনূস) প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে যে আপনি দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবেন এবং দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবেন।

ওয়াং ই বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চীনের সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারকদের ড. ইউনূসের আহ্বানকে চীন গুরুত্ব দেবে।

গত মাসে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ড. ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানিয়েছিলেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেইজিং দুই দেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা ও অংশীদারত্বকে উৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সব পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ার চীনের সিদ্ধান্ত থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।

তিনি বলেন, চাইনিজ রেড ক্রস জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের একটি দল পাঠিয়েছে।

ওয়াং ই আরও বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে দেশটিতে স্বাগত জানাবে।

ড. ইউনূস এজন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান। কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে চীনের ‘বিস্ময়কর’ প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।

তিনি বলেন, চীনা সোলার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বড় পরিসরে বিনিয়োগ করতে পারে।

এছাড়া অন্যান্য চীনা নির্মাতাদেরও বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ‘একটি নতুন অধ্যায়’ সূচনার উপর জোর দেন।

তিনি উভয় দেশের কোম্পানির মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়ানোরও আহ্বান জানান।

-বিজ্ঞাপন-
বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন