১৬/০৫/২০২৫, ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ
27.8 C
Dhaka
১৬/০৫/২০২৫, ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে দিল্লীপন্থীদের আর স্থান হবেনা, আমরা বাংলাদেশপন্থী:উপদেষ্টা মাহফুজ

অন্তর্বতী সরকারে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, গত ৫৩ বছর ধরে আমরা পরিকল্পিত লড়াই করে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে পেরেছি। অচীরেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে বিএনপি জামাতসহ অন্য সংগঠনগুলো একটি পজেটিভ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নতুন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসবে। তবে যারা আসবে এরা সবাই বাংলাদেশ পন্থী। কোনভাবেই ফ্যাসীবাদ আওয়ামীলীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হবেনা।

আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে হাজীগঞ্জে এক পথসভায় সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, শেখ মুজিব ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে সকল গণতন্ত্র নাসাৎ করার প্রচেষ্টা করেছিলো। ঐ সময়ে কয়েকটি বাদে সকল পত্রিকাকে শেখ মুজিব বন্ধ করেছিলো। তার সেই বাকশাল মতপ্রকাশের স্বাধিনতাকে লুন্ঠিত করেছিলো। ওই বাকশাল প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী সময়ে শেখ মুজিব তার বিরোধী কয়েক হাজার নেতৃবৃন্দকে গুম খুন করে এবং তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগের ঐ সময়ের নেতৃবৃন্দরা হাজার হাজার মা বোনদের ধর্ষণ করেছিলো। তাই মুজিববাদ ও হাসিনাবাদীদের আর এই বাংলাদেশে ঠাঁই নাই। এদেরকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হবেনা।

মাহফুজ আলম আরও বলেন, জনগণকে বৈষম্যমুক্ত করতে হাসিনা যেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর ভর করে টিকে ছিলো তা সংস্কার চলছে। ওগুলো সংস্কার না করলে হাসিনা ফিরে আসলে আবারও ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে। তাই এই সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আওয়ামীলীগের শাসনামলের সকল গুম খুন হত্যা ধর্ষণের বিচার করছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশপন্থীদের নিয়ে যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। তার মাধ্যমে ইনসাফমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে এবং এজন্যই নূন্যতম সংস্কার শেষে নির্বাচন দেয়া হবে।

এদিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ হয়ে গাড়ীবহরে যাচ্ছিলেন। পথেমধ্যে হাজিগঞ্জ বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের গাড়ীবহরকে থামিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং ঐ সময়ে তিনি গাড়ীতে দাঁড়িয়েই পথসভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

এনএ/

দেখুন: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা, ভারতের দাদাগিরি শেষ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন