27 C
Dhaka
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

বাংলাদেশের ঘটনাক্রমের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা নেই: ট্রাম্প

বাংলাদেশের ঘটনাক্রমের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একজন ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার পাশেই বসেছিলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন। সেদিনি হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি।

বৈঠকের আগে একটি সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর করেন যেখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে আসে। এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, আমরা দেখেছি, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির শাসন পরিবর্তনে জড়িত ছিল—এটি স্পষ্ট। আর তারপর মোহাম্মদ ইউনুস জুনিয়র সোরোসের সাথেও দেখা করেন, সুতরাং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনও ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী (ভারতের) এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন। আসলে আমি পড়েছি (ভারত) এটা নিয়ে শত শত বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিষয়ে উত্তর দিতে আমি প্রধানমন্ত্রীর (ভারতের) ওপরই ছেড়ে দিতে চাই।

তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কোনো দেননি নরেন্দ্র মোদি। এমনকি বাংলাদেশ ইস্যুতে কোনো কথাও বলেননি তিনি।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করার এক বার্তায় ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশটিতে দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরিভাবে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে।’

৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং এর পর শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন।

আওয়ামী লীগ অভিযোগ করে যে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন এ পতনের পেছনে কলকাঠি নেড়েছে। তবে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন।

এনএ/

দেখুন: ৫৫ বছর আগে বাংলাদেশে আসা বীর বাহাদুর অবশেষে ফিরে গেলেন নেপালে

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন