27 C
Dhaka
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

বাংলাদেশে সরকার বদলালে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের পরিবর্তন হতে পারে

ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ৮ মার্চ নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে দেওয়া এক বক্তৃতায় বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর ভারতের সঙ্গে ঢাকা সম্পর্কের পরিবর্তন আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সরকারের পরিবর্তন হলে, সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। তবে বাংলাদেশ এবং ভারতের সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী এবং উভয় পক্ষ নিয়মিত নোট বিনিময় করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখে।”

জেনারেল দ্বিবেদী আরও জানান যে, পাকিস্তান এবং চীনের মধ্যে যে উচ্চমাত্রার সহযোগিতা রয়েছে, সেটি একটি বাস্তবতা হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। তিনি বলেন, “এই সহযোগিতা ভার্চুয়াল ক্ষেত্রে প্রায় ১০০ শতাংশ এবং ভৌত ক্ষেত্রে চীনা উৎপত্তির বেশিরভাগ সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়।” এর পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তান ও চীনের সম্পর্কের কারণে ভারত দুই-ফ্রন্টের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগজনক।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন,

“সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল একটি নির্দিষ্ট দেশে রয়েছে এবং যদি সেই দেশটির সঙ্গে আমার প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক থাকে, তবে সেটি আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কারণ সন্ত্রাসবাদ যে কোনো দেশকে ব্যবহার করতে পারে এবং এটি আমাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়।”

ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, “যুদ্ধ কোনো দেশের স্বার্থে ভালো নয়। তাই আমাদের সহাবস্থান, সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের দিকেই অগ্রসর হওয়া উচিত।” তিনি আরও যোগ করেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত কঠিন, বিশেষত বাংলাদেশে সরকারের পরিবর্তন ঘটলে। তবে, তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সামরিক সম্পর্ককে অত্যন্ত শক্তিশালী বলে উল্লেখ করেন এবং জানান যে উভয় দেশের সামরিক বাহিনী নিয়মিত নোট বিনিময় করে থাকে, যাতে সন্দেহ বা দ্বিধা এড়ানো যায়।

এছাড়া, জেনারেল দ্বিবেদী পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের প্রসঙ্গে বলেন, “এটি একটি বাস্তবতা যা আমাদের মেনে নিতে হবে। বর্তমানে, চীনা সামরিক সরঞ্জাম পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি আমাদের নিরাপত্তা ও কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গুরুত্ব পায়।”

পরিশেষে, জেনারেল দ্বিবেদী ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভবিষ্যত প্রস্তুতি নিয়ে বলেন, “আমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, তবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই আমাদের মূল লক্ষ্য। যুদ্ধ কোনো দেশের স্বার্থে কখনই ভালো হতে পারে না, তাই আমাদের কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক রক্ষা করতে চায় ভারত : রাজনাথ সিং

দেখুন: ৫৫ বছর আগে বাংলাদেশে আসা বীর বাহাদুর অবশেষে ফিরে গেলেন নেপালে | 

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন