24.7 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে আম, পেয়ারা ও কাঁঠাল আমদানি করবে চীন

বাংলাদেশ থেকে আম, পেয়ারা ও কাঁঠাল আমদানি করবে চীন। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব ফল আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিসে একাডেমিতে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আম, পেয়ারা ও কাঁঠাল আমদানি করার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আগেই চীন সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন। এখন চীন সরকার এই তিন ধরনের ফল আমদানি করতে খুবই আগ্রহী। এর মধ্যে দিয়ে চীনে আমাদের রপ্তানির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা দেশটিতে কাঁঠাল বৃহৎ পরিসরে রপ্তানি করতে পারব। আর চীনারা বাংলাদেশের আম পছন্দ করছেন। এর ফলে দেশটিতে বৃহৎ আকারে আম রপ্তানিরও সুযোগ তৈরি হয়েছে। আম রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু স্ট্যান্ডার্ড পরিপালন করতে হয়, সেক্ষেত্রে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফও) আমাদেরকে চার মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘আশা করছি প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক গভীর হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ভারতের খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ভিসার জটিলতা থাকলেও গত সাত মাসে ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য বেড়েছে। ভারতের সঙ্গে আমরা খুবই ভালো সম্পর্ক চাই, তবে সেটা অবশ্যই ন্যায্যতা, মর্যাদা এবং সমতাপূর্ণ হতে হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতাল বাংলাদেশের জন্য ডেডিকেটেড করা হয়েছে এবং সেখানে বাংলাদেশের রোগীরা চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন, এটি ভালো খবর। তবে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা চাচ্ছেন চীনের হাসপাতাল চেইন বাংলাদেশে আসুক। সেটি হলে আমরা চীনের উন্নতমানের চিকিৎসা আমাদের দোরগোড়ায় পাব।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস চীনের বড় বড় হেলথকেয়ার কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন এবং তার এবারের সফরে প্রধান ফোকাস থাকবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে যেন চীনা বিনিয়োগ আনা যায়।’

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

পড়ুন : চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক ২৮ মার্চ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন