28 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ৩, ২০২৪
spot_imgspot_img

বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ব্লিঙ্কেনকে ২২ সিনেটরের চিঠি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি দিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং উচ্চকক্ষ সিনেটের ২২ জন সদস্য। দেশটির মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের সিনেট সদস্য ক্রিস ভ্যান হোলেন এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

চিঠিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের উদ্দেশে মার্কিন আইনপ্রণেতেরা লিছেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ নিয়ে আমরা আপনার উদ্দেশে এই চিঠি লিখেছি। বাংলাদেশের শিক্ষার্থী আন্দোলনকারী এবং দেশটিতে ক্ষমতাসীন সরকারের মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, কারণ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে— যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের কাছে সেই নির্বাচন ব্যাপকভাবে সমালোচিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ।’

তারা লেখেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করছে। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন এই সরকার দেশের শ্রমিকদের অনকূলে নীতি গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে এবং অতি সম্প্রতিকালে সরকারি চাকরিতে প্রচলিত কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করতে বন্দুক, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার সহ প্রায় এক সপ্তাহ পুরো দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘটনাও ঘটেছে।’

মার্কিন আইনপ্রণেতেরা লিখেছেন, ‘এই আন্দোলনে এ পর্যন্ত অন্তত ১৭০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন হাজার হাজার। আন্দোলন দমনে দাঙ্গা পুলিশের পাশাপাশি এলিট ফোর্স র‍্যাবেরও ব্যবহার করেছে সরকার, যে বাহিনীকে মানবাদিখার লঙ্ঘণের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সারা দেশে কারফিউ জারি এবং কারফিউয়ের সময় লোকজনকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশও সরকার দিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

তারা আরও লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আইনের শাসন, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা, মানবাধিকার সুরক্ষা- প্রভৃতি নীতির ওপর পরাস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহযোগিতা ও সমর্থনে দেশটি তার নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর ও ঘনিষ্ট হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির আকারও বড় হয়েছে। এই অবস্থায়, প্রিয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আমরা আপনার কাছে এই আহ্বান জানাতে চাই যে বাংলাদশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দিন দিন উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।’

চিঠিতে যেসব মার্কিন সিনেট সদস্য স্বাক্ষর করেন তারা হলেন অ্যাডওয়ার্ড জে. মার্কি, ক্রিস ভ্যান হোলান, টাম্মি বাল্ডিন, জেফরি এ মার্কলি, ক্রিস্টোফার এস মারফি, টিম কাইন, রিচার্ড জে ডারবিন। এছাড়াও মেম্বার অব কনগ্রেসম্যানদের মধ্যে এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন জেমস পি. ম্যাক গভার্ন, উইলিয়াম আর কিয়েটিং, গ্রেস মেঞ্জ, সেথ মল্টান, লরি ট্রাহান, জো উইলসন, জেমস সি. মোলান, ডিনা টিটাস, জিরাল্ড ই কনলি, গাবে আমো, আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ, ইলহান ওমর, নাইডিয়া ভেলাজকুয়েজ, ডেনিয়েল টি কিলডি ও বারবারা লি।

spot_img
spot_img

আরও পড়ুন

spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন