বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেসব বিশেষ লকারে অপ্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জমা রয়েছে বলে মনে করছে দুদক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন,
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনোভাবেই যাতে লকার থেকে অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে না পারেন, সে জন্য সব লকার ফ্রিজ করার অনুরোধ জানিয়ে রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান।
চিঠিতে বলা হয়, বিগত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতিক্রমে একজন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নরের সেইফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। তল্লাশি করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর জমাকৃত তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে।
ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান রয়েছে জানিয়ে চিঠিতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে গত ৩০ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক আলোচনায় ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।অর্থ উপদেষ্টা উক্ত ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িক ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিট সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করে কেউ যাতে উক্ত লকার খুলে রক্ষিত মালামাল নিতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিনীত অনুরোধ করা হলো।
পড়ুন:সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিএসএফ
দেখুন:বাংলাদেশে তৈরি শার্ট আর টাই ব্যবহার করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প |
ইম/