বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবার মানোন্নয়নে যুক্ত হচ্ছে নতুন প্রযুক্তি ই-বাইক—পোস্টম্যানদের দ্রুত, দক্ষ এবং সময় সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিত করতে এবার তাদের দেওয়া হবে ইলেকট্রিক (ই-বাইক)। এর ফলে শহর থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত চিঠিপত্র ও পার্সেল পৌঁছাতে যেমন সময় কম লাগবে, তেমনি কর্মীদের কষ্টও লাঘব হবে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার জিপিওতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আনুষ্ঠানিকভাবে ই-বাইকের উদ্বোধন করবেন।
এর আগে তিনি রোববার (১৩ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে তথ্য জানান।
তিনি লেখেন, “বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবার মান বাড়ানোর জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।” তার মতে, ডাক বিভাগের সক্ষমতা ও পরিসেবা উন্নয়নেপাশাপাশি আরও কিছু আধুনিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পোস্টাল অ্যাড্রেস ডিজিটাইজেশন এবং প্রতিটি ঠিকানার বিপরীতে জিও লোকেশন ম্যাপিং।
এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ডাক বিভাগের সঙ্গে বেসরকারি কুরিয়ার ও পার্সেল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MoU) সই করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে শহর ও গ্রামীণ এলাকায় পার্সেল বিতরণের জন্য একটি সমন্বিত নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “ডাক বিভাগ গ্রামে শক্তিশালী আর বেসরকারি কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো শহরে দক্ষ—এই সমন্বয়ে দেশের সামগ্রিক পার্সেল ডেলিভারি ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে।”
এদিকে, আসন্ন আম মৌসুমকে কেন্দ্র করে কৃষকদের উৎপাদিত আম দ্রুত ও নিরাপদে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে ডাক বিভাগকে ব্যবহার করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, “আম পরিবহনে ডাক বিভাগ কীভাবে কার্যকরভাবে যুক্ত হতে পারে, সে বিষয়ে কাজ চলছে।”
সরকারি সেবা ডিজিটালাইজেশনের এ যুগে ডাক বিভাগের এ ধরনের আধুনিক ও টেকসই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির গ্রহণযোগ্যতাও বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পড়ুন: পহেলা বৈশাখের উৎসবে অংশ নেয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
দেখুন: বাইকের তেল বাঁচাতে কি করবেন
ইম/