১০/১১/২০২৫, ২২:২৬ অপরাহ্ণ
25 C
Dhaka
১০/১১/২০২৫, ২২:২৬ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

বাউফলে মাদ্রাসা শিক্ষিকা স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

বিজ্ঞাপন

পটুয়াখালীর বাউফলে দিবালোকে সালমা আক্তার (৩২) নামের এক শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী সরোয়ার হোসেনের (৩৮) বিরুদ্ধে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকান্ডে পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দুইটার দিকে বাউফল থানায় এসে চার বছরের শিশুসন্তানকে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সরোয়ার।

সালমা আক্তার বাউফল উপজেলার নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর বাবার বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে এবং তার স্বামী সরোয়ারের বাড়ি একই উপজেলার নদমূলা গ্রামে। প্রায় ১২ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মাদ্রাসার সূত্রে জানা গেছে, চাকরির সুবাদে চার বছর আগে বাউফলে আসেন সালমা ও তাঁর স্বামী সরোয়ার। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তাঁরা উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রাামের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

সরোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দাম্পত্য কলহের জেরে গতকাল (৩১ জুলাই) বিকেলে সালমা ও সরোয়ারের মধ্যে ঝগড়া হয়। বাকবিন্ডার একপর্যায়ে বিকেল সোয়া চারটার দিকে সরোয়ার ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে সালমার ঘাড়ে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে লাশটি ঘরের ভেতর রেখে দরজা-জানালা বন্ধ করে চার ছরের শিশুসন্তানটিকে নিয়ে পালিয়ে যান সরোয়ার। একপর্যায়ে বিবেকের তাড়নায় গতকাল গভীর রাতে সন্তানসহ বাউফল থানায় হাজির হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি।

বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, সরোয়ার থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সালমার মরদেহ উদ্ধার করেছে। শিশুটিকেও পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরোও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পড়ুন : পটুয়াখালীর দুমকীতে বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি শতাধিক পরিবার

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন