26.8 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

শেয়ারবাজারে আস্থার অন্তরায় বাজে শেয়ার: কারসাজিতে নিশ্চুপ বিএসইসি

বিগত সরকারের আমলে শেয়ারবাজারে করা কারসাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও চলমান ইস্যুতে নিশ্চুপ বিএসইসি। বাজে শেয়ারের দর বৃদ্ধির ঝলকে যখন ভালো শেয়ার তলানিতে, তখন আস্থা ফেরানো কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

১০ টাকার নিচে থাকা খান ব্রাদার্সের শেয়ার দর কোন কারণ ছাড়াই পৌছে যায় ২৩১ টাকায়। দুর্বল কোম্পানি হওয়া স্বত্ত্বেও আলাদিনের চেরাগ মিলে এক দল গোষ্ঠির কাছে। তবে শেয়ারটি পার্কিং শুরু হতেই দর কমে আসে ৭৮ টাকায়। মাঝখানে পুঁজি হারায় বিনিয়োগকারীরা। শেয়ার জালিয়াতির এই চক্রটি যেন বিএসইসির চেয়েও ক্ষমতাবান। কারণ  তারা কারসাজি করলেও সার্ভিল্যান্স করে ব্যবস্থা নিচ্ছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

খান ব্রাদার্সের মতো এতোটা আক্রমণাত্মক না হলেও কম যায়নি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। ৯ টাকা থেকে দর বৃদ্ধি পেয়ে পৌছায় ৫৬ টাকায়। উৎপাদন বন্ধ, লোকসানি, জেড ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে যারা খেলা-ধুলা করেছেন তারাও রয়ে গেছেন বিএসইসির সুনজরে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে শেয়ার ধরিয়ে ৭ টাকায় নামানো হলে ক্ষতির মুখে পড়েন ভুক্তভোগিরা।

খান ব্রাদার্স কিংবা খুলনা প্রিন্টার্সের মতো বহু কোম্পানি বাজারে রয়েছে যারা নিয়ন্ত্রক সংস্থার নাকের ডগায় প্রতিনিয়তই করে যাচ্ছে কারসাজি। মৌলভিত্তির কোম্পানি দেখে বিনিয়োগের পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু যখন দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকে জেড ক্যাটাগরি, দুর্বল, লোকসানি, উৎপাদন ও ফ্যাক্টরীর বন্ধের কোম্পানি তখন বিনিয়োগকারীরা আস্থা রাখবেন কোথায়-সে উত্তর পাওয়া খুবই মুশকিল।

মূল্য সংবেদনশীল তথ্য কোম্পানিগুলো গোপন করে,  এমন অভিযোগ নতুন নয়। আবার অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জকে জানালেও কর্তৃপক্ষ তা প্রকাশে করে অনিচ্ছা কিংবা বিলম্ব। এতে ফায়দা লুটে স্টক এক্সচেঞ্জেরই কেউ কেউ।

বর্তমান কমিশন বিগত ১৫ বছরের কারসাজির ব্যবস্থা নিতে ব্যস্ত। তবে টার্গেট সামগ্রিক নয় বরং আওয়ামীপন্থী যারা ছিলো তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু শেয়ারবাজারে প্রতিটি কারসাজি চক্রেই সব রাজনৈতিক দলের কম-বেশি সদস্য থাকে। এখন যারা বাজে শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে তাদের বিরুদ্ধে বিএসইসির নিশ্চুপ ভূমিকা, পক্ষপাতিত্ব ও পুঁজিবাজারের জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এনএ/

দেখুন: শেয়ারবাজারে ফিরছে প্রাণ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন