নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে। তাদের প্রশ্ন, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা হলে স্থির আয়ের মানুষ খাবে কিভাবে? ডিম, সবজি সবকিছুইর দামই বাড়তি।
বাজারে আসা মানুষের এ প্রতিক্রিয়া, অন্তবর্তী সরকারকে নিয়ে। দ্রব্যমূল্য অসহনীয় থাকায়, মানুষ হতাশ আর অসন্তুষ্ট ইউনূস সরকারর ওপর। যদিও, দ্রব্যমূল্য নাগালে রাখতে বেশ দৌড়ঝাপ করেছে নতুন সরকার।
তবে, স্থির আর সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট কি কেটেছে? এক কেজি ঢেড়স, ১২০ টাকা, ছোট আকারের একটা লাউ কিনতে লাগছে ৬০ টাকা, তখন মানুষ বলছে, আগের সরকার বিদয়া করলেও, বাজার নিয়ন্ত্রণে নতুন সরকারও ব্যর্থ।
সিন্ডিকেটের থাবা ছিলো আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে, মানুষ বলছে, এখন তারা বাজারে নিয়ণ্ত্রণ করছে, চাদাবাজির কি কেবল মুখ বদল হলো। কারণ যাই থাকুক, এক কেজি কাচা মরিচ পৌনে চারশো টাকা, মানুষের কল্যাণের সরকারের চরিত্র নয়, বলছে সাধারণ মানুষের।
উচ্চমূল্যের এ উত্তাপ কেবল যে সবজি, কাচা মরিচে তা নয়, অনেক দিন ডিমের ডজন ১৮০ টাকার আশেপাশে, নয়া রেকর্ড। সস্তা যে প্রোটিন পাতে তোলা যেত, সেটিও পারা যাচ্ছে না। যদিও, বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম, তাই দাম বাড়তি।
ব্রয়লার মুরগির কেজি ২শ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বড় বাজারগুলোতেই ২১০ টাকা কেজি উঠেছে, পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে আরও কিছুটা বেশি। মানুষ বলছে, ডাল ভাত খেয়ে জীবন যদি চালাতেই কষ্ট হয়, তাহলে রাষ্ট্র সংস্কারের তার কি উপকার?