রমজানের আগ মুহূর্তে বেড়েছে মাছ-মাংস ও ফলের দাম। বাড়তি লেবু, শশা ও বেগুনের দরও। তবে শুল্কছাড়ে কমতির দিকে খেজুর। ছোলা ও চিনির দামও নাগালে। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে তেল ছাড়া সংকট নেই কোন পন্যের। ক্রেতাদের দাবি মনিটরিং জোরদার করেতে হবে।
দরজায় কড়া নাড়ছে মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এ মাসে মুসলমানদের আচার-আচরণ থেকে শুরু করে ভিন্নতা আসে খাবার-দাবারে। বাজারের তালিকায় থাকে ব্যাপক পরিবর্তন। কয়েকগুণ কদর বেড়ে যায় লেবু, শশা, বেগুন ও ছোলা, ডাল, খেজুরসহ ইফতারি পণ্যের। দাম থাকে বেশ ছড়া।
রোজায় চাহিদা বাড়ে মাছ ও মাংসেরও। আর সেই সুযোগ নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে সব ধরনের মাছের দর। ইলিশের দাম তো নাগালছাড়া। কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে সব ধরনের মুরগীর মাংসে।
সবজির বাজারে আরেক দফা বেড়েছে অস্বস্তি। দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগীতায় সবার উপরে লেবু। এক হালি কিনতে গুনতে হবে ৮০ টাকা। শশা, বেগুন, গাজরের ঊর্ধমুখী দরে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের।
তবে গত বছরের তুলনায় এবার ছোলা, ডাল, চিড়ামুড়ি ও চিনির দামে স্বস্তি। প্রতি কেজি ছোলা মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১৩০ টাকা, চিড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা আর চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। তবে এখনো কাটেনি সয়াবিন তেলের সংকট।
শুল্ক কমায় আমদানি ব্যয় ১৫ শতাংশ কমে খেজুরের বাজারেরও স্বস্তি। ১৫০০ টাকার মেডজুল ১৩০০ টাকা, আজওয়া হাজার টাকা। দাবাস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা আর জাহেদি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। তবে আপেল, কমলা, মল্টাসহ অন্য সব ফলের দাম যথারীতি বাড়তি।
নিত্য পণ্যের বাজার ক্রেতা নাগালে আনতে মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার দাবী সাধারণ মানুষের।
এনএ/