দারিদ্র বিমোচন ত্বরান্বিত করতে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে আরও সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। সেই লক্ষ্যে আগামী অর্থ বছরের জন্য স্মার্ট সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম সাজানো হয়েছে। ভাতা না বাড়লেও বাড়ানো হয়েছে ভাতাভোগীর সংখ্যা। সরাসরি মোবাইল ব্যাকিংয়ের মাধ্যমে দেয়া হবে শতভাগ সহয়াতা।
প্রতিবছর সামাজিক সুরক্ষার কভারেজ ও বাজেট বরাদ্দ দুটোই বৃদ্ধি করে যাচ্ছে সরকার। সর্বোপরি সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় নতুন অর্থ বছরে বাড়ানো হয়েছে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ভাতাভোগীর সংখ্যা।
নতুন বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা। যা বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং জিডিপির ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। চলতি বছরে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিয়েছে সরকার। এ জন্য আগের অর্থবছরের উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ২৮০ জনে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৮ লাখ থেকে ৬০ লাখ এবং বিধবা ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৭৫ হাজার থেকে ২৭ লাখ ৭৫ হাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুই খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে যথাক্রমে ৪ হাজার ৩৫১ কোটি ও ১ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা।
নতুন অর্থ বছরে সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ১ লাখের বেশি মানুষকে ভাতার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও তাদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে চলমান থাকবে উপবৃত্তি।