23.8 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

কানাডাকে অঙ্গরাজ্য বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প!

এবার কানাডাকে নিজেদের অঙ্গরাজ্য বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর তিনি কানাডাসহ তিন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে গত সপ্তাহে বৈঠক করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দেন।

জাস্টিন ট্রুডো বলেন, বাণিজ্য ও অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কানাডার অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। তার এমন কথার জবাবে ট্রাম্প এ প্রস্তাব দেন।

এ বিষয়ে কানাডার এক মন্ত্রী বলেন, ট্রাম্প কানাডাকে এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে বিষয়টি সিরিয়াস কিছু নয়। তিনি মজা করেই এমন প্রস্তাব দেন।

কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রী ডমিনিক লেবল্যান্স বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মজা করছিলেন। তিনি আমাদের টিজ করছিলেন। এই ইস্যুতে এটা কোনোভাবেই সিরিয়াস মন্তব্য ছিল না।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই তিনি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। সেখানে মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ করারোপ করা হবে।

ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, নির্বাহী আদেশে জারি করা ২৫ শতাংশ করের ওপর বাড়তি আরও ১০ শতাংশ করারোপ করবেন অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ওপর। যার ফলে চীন থেকে মার্কিন বাজারে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক দাঁড়াবে ৩৫ শতাংশ। বেইজিং মার্কিন বাজারে সিন্থেটিক ওপিওড ফেন্টানাইলের চোরাচালান বন্ধ করার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।

ট্রাম্প জানান, মেক্সিকো ও কানাডার ওপর এসব কর ততদিন পর্যন্ত থাকবে যতদিন এসব দেশ মার্কিন ভূখণ্ডে মাদক ও অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করবে। এসব সমস্যার সমাধান না করলে বড় মূল্য পরিশোধ করার এটিই উপযুক্ত সময় বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

এনএ/

আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন নেতানিয়াহু

দেখুন: ইউনূস বললেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প অবাক হবেন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন