ভারতের সাথে বিএনপির বরফ গলতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন দলের মহাসচিব। তবে তার ছাপ খুব একটা দেখা যাচ্ছে না দলটির নেতাদের বক্তব্যে। দেশটির নানা নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
বিএনপি শেখ হাসিনার আমলে গত ১৫ বছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের হওয়া কিছু উদ্যোগ ও চুক্তির বিষয়ে সমালোচনা করে আসছে। দেশটির সাথে বিএনপির দুরত্বও বাড়ে।
যার কারণে ভারতবিদ্বেষী হয়ে উঠে বিএনপি। বিএনপি বিভিন্ন সময় ভারতীয় পণ্য বয়কটের আন্দোলনের নেতৃত্বও দিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের পতনের পর তা আবার নতুন রূপ নিচ্ছে ভারত-বিএনপি সম্পর্ক।
গেল ২২ সেপ্টেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে বৈঠক করেন। পরে বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন তার দলের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যই এ বৈঠক হয়।
এর চারদিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইতে মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। তিনি বলেন, পরিস্থিতিতির উন্নয়ন হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে বিএনপির বরফ গলতে শুরু করেছে।
তবে বরফ কী সত্যিই গলছে কি না সে নিয়ে প্রশ থেকেই যাচ্ছে। দলটির নেতারা ভারতকে দেশে অস্থিরতা তৈরীর জন্য এখনও দায়ী করছেন। আজও ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় দলটির নেতারা পাবর্ত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা তৈরীর দায় দিয়েছে ভারতকে।
এছাড়া শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান বিএনপির সন্দেহ বাড়াচ্ছে। ফেনিতে বন্যা থেকে ইলিশ রপ্তানি পর্যন্ত ভারতের ভূমিকা নিয়ে কঠোর বিএনপির নেতারা। তবে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে চায় দলটি।