29.5 C
Dhaka
বুধবার, মার্চ ২৬, ২০২৫

বিএফডিসিকে চলচ্চিত্রবান্ধব বানাতে চাই : এমডি মাসুমা রহমান তানি

৫ আগস্ট পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএফডিসির এমডি পদে নিয়োগ পেয়েছেন পরিচালক সমিতির সদস্য চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুমা রহমান তানি। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হন। নিয়োগপ্রাপ্তির পরপরই নতুন এমডি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এবং চলার পথে তাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

রোববার ২ মার্চ এফডিসির প্রশাসনিক ভবনে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সভা সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত বিএফডিসির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের নিয়োগপ্রাপ্তরা উন্নয়নের নামে কেবল মুখস্তবুলি আওড়ে গেছেন। আমাকে এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সংস্কারের অংশ হিসেবে। সরকারের দেওয়া অর্পিত দায়িত্ব আপনাদের সহযোগিতায় আমি পালন করতে চাই। আপনারা লক্ষ্য করেছেন ইতোমধ্যে সরকার এফডিসিকে সচল রাখতে ভাড়া কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়েছে। ফলে প্রচুর কাজ হচ্ছে। এটা মাত্র শুরু আমরা টেকনিক্যাল সাপোর্টিংকে রিচ করতে চাচ্ছি। সেই লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে আশা করছি দ্রুত এর ফল পাব।

মাসুমা আরও বলেন, এফডিসি ছাড়াও মিরপুর, গাজীপুর এবং চট্টগ্রামে আমাদের জায়গা রয়েছে সেগুলো ঘিরে আন্তর্জাতিক মানের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিদেশি একটি টিম এফডিসি ঘুরে গেছে, টেকনিক্যাল জায়গাটি আরো কিভাবে রিচ করা যায় সেই লক্ষ্যে তারা আমাদের সাপোর্ট করবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে নতুন এই এমডি বলেন, এফডিসি অনেক টাকা পার্টির কাছ থেকে পাওনা প্রায় ২৪ কোটি টাকা এর পরিমাণ। আমরা আশা করব দ্রুত এ টাকা ফেরত পাওয়ার নইলে কঠিন পদক্ষেপে যাব।

তিনি বলেন, আমি কোন রাজনীতির সাথে যুক্ত নই , আপনাদের সহযোগিতায় কাজ করতে চাই, আপনারা সত্যটা তুলে ধরুন , আমাদের পাশে থাকেন। চলচ্চিত্র তথা বিএফডিসির উন্নয়ন করাই আমার লক্ষ্য। আপনাদের সবাইকে পাশে নিয়ে আমি এগোতে চাই।

এ সময় অন্যদের মধ্যে মামুনূর রশীদ, পরিচালক (উৎপাদন), মোহাম্মদ আবদুল হান্নান মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক (বিক্রয়), সাইফুর রহমান চৌধুরী, পিএস টু এমডি উপস্থিত ছিলেন।

পড়ুন : সালমান শাহর চালানো রয়েল এনফিল্ড এখন ভাইরাল

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন