শেয়ার কারসাজি থেকে শুরু করে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে আর্থিক জরিমানা অব্যাহত রেখেছে বিএসইসি। কিন্তু দোষীদের নেই জরিমানা দেয়ার মানসিকতা, অন্যদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থারও তা আদায়ে নেই কঠোরতা। মধ্যখানে শেয়ারবাজারে পড়া নেতিবাচক প্রভাবে বিনিয়োগকারীরা হারাচ্ছেন আস্থা।
দায়িত্ব গ্রহণ করার পর শেয়ার কারসাজি ও নানা অনিয়মের কারণে বিপুল পরিমাণ আর্থিক জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বর্তমান পর্ষদ। কিন্তু এখনো পর্যন্ত একটি টাকাও জমা দেয়নি কেউই। উল্টো যতই জরিমানা করা হচ্ছে ততই নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে দোষীরা।
জরিমানা করা ও আদায়ের মধ্যে রয়েছে আইনের নানা মারপ্যাঁচ। এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন হওয়ার পর রয়েছে আপীলের ব্যবস্থা। দিন-মাস,বছর কিংবা যুগ পার করবে শুনানীর পর শুনানী পেছানোর মাধ্যমে। তারপরেও রয়েছে হাইকোর্টে রীট করার সুযোগ। যে কারণে অভিযুক্তরা বর্তমান জরিমানাতে আতঙ্কিত নয় বরং দিন কাটাচ্ছেন হেসে-খেলেই। অন্যদিকে কারসাজি নেই থেমে।
এদিকে আর্থিক জরিমানার ক্ষমতা থাকলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেই কাউকে জেলে পাঠানোর বিধান। আইনী ফাঁকফোকড় কিংবা দুর্বলতায় সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছেন অভিযুক্তরা।
এদিকে যতবারই জরিমানার খবর প্রচার করা হয়েছে ততবারই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। এতে পুঁজি হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই জরিমানা আদায় করতে প্রয়োজনে বিএসইসিকে টুসিসির মতো সুপার পাওয়ার দেয়া উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এনএ/