24.9 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি

দেশের বিচার ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা এবং বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে নিজের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আপহোল্ডিং এনভায়রনমেন্টাল জাস্টিস : দ্য রুল অব জাজেজ ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন,

আমরা কেবল মাত্র পরিবেশগত সংকটের দর্শক নই; বরং আমরা ন্যায়বিচারের প্রহরী। যাদের দায়িত্ব হচ্ছে এমন এক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, যা পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে।

মাইকে ‘ডাকাত’ ঘোষণা দিয়ে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত, কিন্তু বর্তমানে পরিবেশগত ঝুঁকির মুখোমুখি। নদী সুরক্ষা, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আদালত অনেক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে, যা আমাদের প্রতিশ্রুতির সাক্ষ্য বহন করে।

সুন্দরবনের প্রসঙ্গ তুলে প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি আমরা এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেই, তবে অমূল্য এই সম্পদ হারিয়ে যেতে পারে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি সংরক্ষণ করা আমাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব। সুতরাং, কঠোর আইনি কাঠামো, টেকসই নীতিমালা ও সক্রিয় তদারকি নিশ্চিত করতে হবে।

সেমিনারে তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ মূলত বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করা হয়, যা বিভাগের স্বায়ত্তশাসন সংকুচিত করে এবং পৃথক ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করে। আমি এই প্রেক্ষাপটে বিভাগের স্বায়ত্তশাসন পুনরুদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি। আমার প্রচেষ্টা হলো বিচার ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা।

বিভাগের সংস্কার ও পরিবেশগত এই দুটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত উল্লেখ করে সেমিনারে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিভাগ শুধু আইন ব্যাখ্যা করবে না বরং পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য দৃঢ় অবস্থান নেবে। সূত্র- বাসস

পড়ুন : পিএসসির নতুন ৭ সদস্যকে শপথ পড়ান প্রধান

দেখুন : আবারও ইউনূসের করার হুমকি দিলো হাসিনা! |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন