নজিরবিহীন ভাবে বিজিএমইএ কে বিগত সরকারের টানা শাসন আমলেও, দলীয় কার্যালয় পরিণত করেন এসএস মান্নান কচি। রাজনৈতিক মদদে অনেকটা অব্যবসায়ী হয়েও প্রশ্নবিদ্ধ আর কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনটির সভাপতি পদে আসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসার স্বার্থে নয়, তার কাজ ছিলো সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন।
আমৃত্যু, সরকারের সঙ্গে থাকার এই এই বক্তব্য, জনরোষে বিদায় নেয়া আওয়ামী লীগ সরকারের কোন রাজনৈতিক সমাবেশে নয়, ব্যবসায়ি সমাবেশ, গত ২২ আগস্ট। আর বক্তাও অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন, পোশাক খাতের সংগঠন-বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট হিসেবে।
মান্নান কচি, ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন মিরপুর বাংলা কলেজের। সেখান থেকে যুক্ত হন, জুট ব্যবসায়। নাম মাত্র, কারখানার পরিচয়ে, সদস্য পদ বাগিয়ে নেন, পোশাক খাতের সংগঠন, বিজিএমইএর। ব্যবসায় এগিয়ে না গেলেও, রাজনৈতিক মদদে সম্পৃক্ত হতে থাকেন সংগঠনটির নেতৃত্বে।
ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মী থেকে, এখন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আর সেই ক্ষমতা ব্যবসার করে, নজিরবিহীন ভাবে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে রপ্তানিকারকদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন গত মার্চে। আর সংগঠনটি যেন পরিণত হয়-দলীয় কার্যালয়ে, তা তার বক্তব্য থেকেও স্পষ্ট।
নির্বাচনের ভোটার তালিকা নিয়েও ছিলো নানা প্রশ্ন। মৃত ব্যক্তিকেও ভোটার করার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। কিন্তু, ক্ষমতার দাপটে হাওয়া নিয়ে, পাশে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী টিপু মুনশি, সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ব্যবসায়িরা বলছেন, কচি নির্বাচিত হওয়ার পর, সংগঠনটি পোশাক খাতের স্বার্থে, তৎপর নয়, তৎপর ছিলো, সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে। অনেকে তাই বলছে, বিজিএমইএ যেন বিদায়ী সরকারের শাখায় রূপান্তর হয়। তাই ব্যবসার নির্দেশনা পাননি তারা।
ছাত্র জনতার আন্দোলন দমনেও শক্তি প্রয়োগ করেন, আওয়ামী লীগের এ নেতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তা ছড়িয়ে পড়ে। আর শত শত প্রাণহাণিকে অস্বীকার করে, সাফাই গেয়েছিলেন সরকাররে, প্রাণহানির থেকে বড় করেন ক্ষয়ক্ষতির।
আপস বিজিএমইএ এখন চলছে, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়ে, কারণ সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট নিজেই এখন পলাতক। সাধারণ সদস্যরা বলছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও, অরাজনৈতিক সংগঠন, বিজিএমএএর প্রেসিডেন্টর পলাতক থাকার ঘটনাও প্রথম সংগঠনটির ইতিহাসে।