ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ফেনীর ১০৩ কিলোমিটার স্থল ও নদী সীমান্ত এলাকায় উদ্বেগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তবে সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধির ফলে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে স্থানীয়দের মধ্যে।
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, ফেনীর ৯৫ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত এবং ৮ কিলোমিটার নদী সীমান্ত রয়েছে। এসব এলাকার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে ফেনীস্থ ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। ব্যাটালিয়নের আওতাধীন এলাকায় টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি আনসার ভিডিপি ও স্থানীয় বাসিন্দারাও সজাগ অবস্থানে রয়েছেন।
জেলার সীমান্তবর্তী ফুলগাজী, পরশুরাম ও ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত স্বাভাবিক থাকলেও ভারতের দিক থেকে প্রযুক্তিগত নজরদারি বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএসএফ পূর্বে লাল হ্যালোজেন লাইট ব্যবহার করলেও বর্তমানে এলইডি লাইট, ক্যামেরা এবং সেন্সর স্থাপন করছে।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলে, তা প্রতিহত করতে তারা বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিজিবি, পুলিশ, এবং উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে স্থানীয় আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা রাতে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন।
ফেনীস্থ ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোশারফ হোসেন বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে সীমান্ত নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা হয়েছে। সর্বদা সজাগ থেকে পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
ফেনী জেলা প্রশাসক ও জেলা কোর কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, “বিজিবি যখনই চাইবে, দেশের প্রয়োজনে সর্বপ্রকার সহযোগিতা করা হবে।
পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাবর্ষণ চলছে
দেখুন: সং’ঘা’তের মধ্যে বাংলাদেশে ভারতের পুশ-ইন, সীমান্তে আ’ত’ঙ্ক |
ইম/