স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রকল্প পাশ করানো, সরকারি জমি দখল, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ঋণগ্রহণ করে আত্মসাৎ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দেশের ২৩ হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের স্বাক্ষর করা তলবি চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) এর চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তালিকা উল্লেখ করে নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।
মূলত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ওই নথিপত্র তলব করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আক্তারুল ইসলাম বলেন, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রকল্প পাশ করানো, সরকারি জমি দখল, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ঋণগ্রহণ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা নথিপত্র তলব করে পিডিবিতে চিঠি দিয়েছেন। অনুসন্ধান টিম আইন অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
দুদক যে সব রেকর্ডপত্র তলব করেছে তার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে অত্রসাথ সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ২০০৯ এর জানুয়ারি হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত ২৩ হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, সেসব পাওয়ার পারসেজ অ্যাগ্রিমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যাগ্রিমেন্টসহ (পিপিএ) সম্পাদিত সব চুক্তি ও চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে বোর্ডের অনুমোদন এবং চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর অনুকূলে অদ্যাবধি পরিশোধকৃত বিল ও বকেয়া বিল সংক্রান্ত তথ্যসহ সংশ্লিষ্ট যে কোনো রেকর্ডপত্র।
চাহিদাকৃত রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি যত দ্রুত সম্ভব পাঠানোর অনুরোধ করেছে অনুসন্ধান টিম প্রধান। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পড়ুন : দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেত্রকোনা বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান