29 C
Dhaka
মঙ্গলবার, মার্চ ২১, ২০২৩

কিংবদন্তির মৃত্যু নেই, শুধু প্রস্থান

বিশেষ সংবাদ

Juboraj Faishal
Juboraj Faishalhttps://www.nagorik.com
Juboraj Faishal is a News Room Editor of Nagorik TV.
- Advertisement -

বিশ্ব ফুটবলের আরেক নাম দিয়েগো আর্মান্ডো ম্যারাডোনা। ফুটবল বিশেষজ্ঞ, সমালোচক, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ফুটবলপ্রেমিরা তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

ফিফাডটকমের ভোটাররা তার একটি গোলকেই শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবে নির্বাচিত করেন।

ফুটবল বিশেষজ্ঞ বলেন, ম্যারাডোনাই দুনিয়াজুড়ে আকাশি-সাদা জার্সির লাখো কোটি ভক্ত সমর্থক তৈরি করে গেছেন।

বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার চোখে বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় হিসেবে, তার পাশে ছিলেন কেবলই ব্রাজিলের আরেক কিংবদন্তি পেলে।

ম্যারাডোনা দুবার ট্রান্সফার ফির বিশ্বরেকর্ড গড়া একমাত্র ফুটবলার। প্রথমবার বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় ৫ মিলিয়ন ইউরো এবং দ্বিতীয়বার নাপোলিতে যাওয়ার সময় ৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ইউরো।

নিজের পেশাদার ক্যারিয়ারে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন এ কিংবদন্তি।

চারটি বিশ্বকাপে (১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ এবং ১৯৯৪) আর্জেন্টিনার হয়ে টানা ২১টি খেলায় মাঠে নামেন ম্যারাডোনা। ১৬টি খেলায় জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছেন, যা একটি বিশ্বকাপ-রেকর্ড।

বিশ্বকাপের ২১টি খেলায় ৮টি গোল করেন এবং অন্য ৮টি গোলে সহায়তা করেন। যার মধ্যে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে করেন ৫টি গোল এবং ৫টি সহায়তা।

আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ৩৪টি গোল করেছেন ম্যারাডোনা। চারটি বিশ্বকাপ খেলা এ ফুটবলার দেশটি একক নৈপুণ্যে বিশ্বসেরার ট্রফি জিতিয়েছেন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে তার অবদান শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়, বিশ্ব ফুটবলে রাজার আসনে আসীন করেছে তাকে।

১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ২–১ গোলে জয় লাভ করে। আর্জেন্টিনার পক্ষে দুটি গোলই করেন ম্যারাডোনা। দুটি গোলই ফুটবল ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে দুটি ভিন্ন কারণে। প্রথম গোলটি ছিল হ্যান্ডবল যা “হ্যান্ড অব গড” নামে খ্যাত। দ্বিতীয় গোলটি ম্যারাডোনা প্রায় ৬০ মিটার দূর থেকে ড্রিবলিং করে পাঁচজন ইংলিশ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে করেন।

ম্যারাডোনার জন্ম ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর বুয়েনস আইরেসের লানুস শহরে, খুবই গরীব পরিবারে। তিনি বেড়ে ওঠেন ভিয়া ফিওরিতোতে, যা বুয়েনোস আইরেসের দক্ষিণ প্রান্তের একটি শান্তিটাউন।

বাবা-মায়ের তিনটি কন্যা সন্তানের পর তিনিই ছিলেন ছেলে। তার ছোট দুই ভাই রয়েছে হুগো (এল তুর্কো) এবং রাউল (লালো)। তারাও পেশাদার ফুটবলার ছিলেন।

১০ বছর বয়সে যখন এস্ত্রেয়া রোজার হয়ে খেলছিলেন তখন দিয়েগোকে খুঁজে বের করেন একজন স্কাউট। এরপর তিনি দ্য লিটল অনিঅনের (আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের যুব দল) একজন মূল খেলোয়াড়ে পরিণত হন।

আর্জেন্টিনার প্রথম বিভাগের খেলায় বল-বয় ছিলেন ম্যারাডোনা। তখন তার বয়স ১২ বছর। তখন খেলার অর্ধ বিরতির সময় বল নিয়ে জাদুকরি কারুকার্য দেখিয়ে তিনি দর্শকদের সন্তুষ্ট করতেন।

১৯৭৬ সালের ২০ অক্টোবর, নিজের ষোলতম জন্মদিনের দশ দিন আগে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক হয় ম্যারাডোনার। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত সেখানে ছিলেন। ১৬৭ ম্যাচে গোল করেন ১১৫টি।

আর এরপর ১ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বোকা জুনিয়র্সে পাড়ি জমান। ১৯৮১ মৌসুমের মাঝামাঝি সময় বোকায় যোগ দিয়ে ১৯৮২ সালে তিনি প্রথম লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন।

১৯৮৫ সালে নাপোলির হয়ে মাঠে নামেন। এই ক্লাবেই ম্যারাডোনা তার পেশাদার ক্যারিয়ারের শিখরে পৌঁছান। খুব দ্রুত ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তার যাদুতে নাপোলিও নাপোলিও তার ইতিহাসের সেরা সময় কাটায় তখন।

ম্যারাডোনার অধীনে ১৯৮৬–৮৭ ও ১৯৮৯–৯০ মৌসুমে সিরি এ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে এবং ১৯৮৯–৮৮ ও ১৯৮৮–৮৯ মৌসুমে তারা রানারআপ হয়। তার সময়ে নাপোলি একবার কোপা ইতালিয়া (১৯৮৭) জেতে এবং একবার রানার-আপ (১৯৮৯) হয়।

আর ১৯৯০ সালে ইতালীয় সুপার কাপও জেতে নাপোলি। ১৯৮৭–৮৮ মৌসুমের সিরি এ-তে ম্যারাডোনা সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন।

ফই/শাই/ফই

- Advertisement -
- Advertisement -

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বাধিক পঠিত