
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর হিসেবে সাভারের আশুলিয়ায় চারিগ্রামের শেকড় এগ্রোর ‘রানিকে’ স্বীকৃতি দিলো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সকালে সাভারের আশুলিয়ায় চারিগ্রামের এলাকার শেকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এই খামারেই বেড়ে ওঠে গরুটি।

চলতি কোরবানির ঈদে আলোচনায় আসে গিনেস বুকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি পেতে যাওয়া বামন গরু ‘রানি’। দেশ ছাড়িয়ে এর খবর প্রকাশ পায় বিশ্ব মিডিয়ায়। কিন্তু হঠাৎ খবর আসে রানির মৃত্যুর। এ নিয়েও চলে আলোচনা।
গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকডস কর্তৃপক্ষ তাকে ই-মেইলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সেলিম বলেন, গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ কাছে আমরা রানির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম। ওরা মূলত দেখেছে, আমরা হরমোন জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে রানিকে বামন করেছিলাম কি না? কিন্তু প্রতিবেদনে এ ধরনের কোনো কিছুই তারা পায়নি। চারদিন আগে ওরা রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু তাদের প্রসেসের কারণে বিলম্বে আমাদের ই-মেইল করেছে গতকাল।

শেকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও জানান, রানি আমাদের সবার অনেক আদরের ছিল। প্রাণী হলেও রানিকে আমরা পরিবারের একজন করে নিয়েছিলাম। কিন্তু গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে যখন রানির নাম উঠতে আর কিছু দিন বাকি, তখন আমরা তাকে হারিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, রানির মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি আমরা। তবে অবশেষে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ তাদের প্রসিডিউর অনুযায়ীই রানিকে বিশ্বের সবচাইতে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমরা সত্যিই অনেক বেশি আনন্দিত। তবে রানি বেঁচে থাকলে এই আনন্দের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যেতো।
ফই//
