
গুলশানের হোলি আর্টিজান হামলার বিচারের রায়, আটকে আছে উচ্চ আদালতে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৭ আসামির আপিলের পর, ১৯ মাসেও নেই অগ্রগতি।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তাদের তৎপরতায়, দেশে বড় ধরনের নাশকতার সক্ষমতা হারিয়েছে জঙ্গিরা।
২০১৬ সালের ১ জুলাই। দেশের ইতিহাসে ঘটে যায় সবচেয়ে জঘন্যতম জঙ্গি হামলার ঘটনা। গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারি। যেখানে হত্যাযজ্ঞের শিকার হন ১৭ বিদেশি, ৩ বাংলাদেশি নাগরিক এবং অভিযানে যাওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
নৃশসং সেই ঘটনার পর, পেরিয়েছে পাঁচটি বছর। নিহতদের প্রতি আরও একবার বিনম্নর শ্রদ্ধা নিবেদন।
র্যাব এর মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সেই রাতের নাটকীয়তার সমাপ্তি ঘটায়, সেনাদের কমান্ডো অভিযান- অপরেশন থান্ডারবোল্ট। জীবিত উদ্ধার হয় ৩২ বিদেশি নাগরিক।
ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ৫ জঙ্গি। তদন্তে মেলে ২১ জনের সম্পৃক্ততা। পরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে নিহত হয়, ১৩ জন। গ্রেপ্তার হয় ৮ জন।
সেই ৮ জনের মধ্যে, ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। কিন্তু, তাদের আপিলের পর, কেটেছে ১৯ মাস। নেই মামলার অগ্রগতি।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর, দেশজুড়ে চলতে থাকে জঙ্গিবিরোধী অভিযান। গ্রেপ্তার প্রায় দেড় হাজার জঙ্গি।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দেশজুড়ে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেয়া গেছে। তাদের আর বড় ধরনের নাশকতা করার শক্তি নেই।
মাই/ফই