শর্তসাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) কর্তৃপক্ষের দেওয়া সাম্প্রতিক নোটিশে শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবির প্রতিফলন ঘটেনি বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনরতরা।
তাদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি ছিল ‘বিনা শর্তে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার’, অথচ নোটিশে বিভ্রান্তিকর কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে এবং কিছু শিক্ষার্থীকে রানিং সেমিস্টারসহ দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে—যা অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত।
শনিবার (২১ জুন) দিবাগত রাতে শিক্ষার্থীদের দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রীয়া জানানো হয়েছে। তারা জানান, এই নোটিশ তারা প্রত্যাখ্যান করছেন। একইসঙ্গে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরাও এই সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছেন না।
শিক্ষার্থীদের দাবি, কর্তৃপক্ষের প্রজ্ঞাপন বাস্তবিক অর্থে আন্দোলনের মূল দাবিকে পাশ কাটিয়ে গেছে। তাদের ভাষায়, ‘আমাদের দাবি ছিল বিনা শর্তে প্রত্যাহার, কিন্তু কর্তৃপক্ষ শর্ত আরোপ করে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে এবং বিভ্রান্তিকর বার্তা দিচ্ছে।’
তবে শিক্ষার্থীরা এখনো আলোচনার পথ খোলা রেখেছেন। তারা জানান, আগামীকাল (রোববার) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর অংশ এবং অযৌক্তিক শাস্তির বিষয়গুলো সমাধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক সমাধান। কিন্তু তা না হলে পরশু সোমবার থেকে আবারও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।
এ প্রসঙ্গে এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাইনি।
এর আগে, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শৃঙ্খলা কমিটি স্থায়ী বহিষ্কারাদেশপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন পুনরায় পর্যালোচনা করে সব স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
