26 C
Dhaka
মঙ্গলবার, অক্টোবর ৮, ২০২৪
spot_imgspot_img

বিসিবিতে যেভাবে ছড়ি ঘুরাতো নাজমুল হাসান পাপন

রাজনৈতিক শক্তি, বিভিন্ন সিন্ডিকেট ও পোষ মানানো পরিচালকদের নিয়ে বিসিবির রাজা হয়ে ওঠেন নাজমুল হাসান পাপন। টানা তিন বারের এমপি হওয়ার পর পদ পান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। এরপর যেন পাপনের শক্তি বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ। নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও সেগুলোকে তেমন একটা পাত্তা দিতেন না তিনি।

বিসিবির সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপন দায়িত্ব নেন ২০১২ সালে। আইসিসির বাধ্যবাধকতার কারণে ২০১৩ সালের অক্টোবরে সভাপতি হন বিসিবির পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে। এরপর আরও দুটি নির্বাচনেও নির্বাচিত হয়ে এখনো নাজমুলই বিসিবি সভাপতি।

দেশের ক্রিকেটকে প্রায় একযুগ ধরে নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন পাপন গেংরা। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর হঠাৎই তাদের বেশির ভাগ দৃশ্যপট থেকে উধাও। এমনকি মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পরও ক্রিকেট বোর্ড ছাড়তে না পারা বিসিবি সভাপতি নিজেও দেশান্তরিত।

দেশের ক্রিকেটের শিকড় হলো ঘরোয়া ক্রিকেট, বাংলাদেশে যেটাকে একরকম ধ্বংসই করে দিয়েছে প্রায় ১২ বছর ধরে বিসিবির সভাপতি থাকা নাজমুল ও তার পারিষদ।

প্রায় এক যুগ ধরে এ দেশে ক্রিকেটের যথেষ্ট অপব্যবহার হয়েছে, দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির কাঁটায় বিদ্ধ হয়েছে খেলা, ক্রিকেট আর ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ হয়েছে অন্ধকারাচ্ছন্ন। এবার এর পরিবর্তন চান ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হোসেনের অভিযোগ, হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়েও বানিজ্য করে বিসিবির কর্তারা। কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে দ্বিতীয় বারের মতো তাকে বিসিবিতে ফেরত আনেন পাপন কমিটির লোক।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পুত্র নাজমুল হাসান পারিবারিকভাবেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ। সেজন্য তার বিপক্ষে দাঁড়ানোর চিন্তাও কেউ কখনো করেননি। আর একচ্ছত্র আধিপত্য পেলে যা হয়, নানা অনিয়মের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন দেশের ক্রিকেটকে।

spot_img
spot_img

আরও পড়ুন

spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন