দেশে বন্যার ক্ষত এখনো শুকায়নি। এর মধ্যেই ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক জেলায় অতিবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। চলমান বৃষ্টিপাত থেমে থেমে আরও ১০ দিন অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সমুদ্রবন্দরগুলোতে জারি করা হয়েছে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত।
গত জুন-জুলাইয়ের মধ্যমেয়াদি বন্যায় অন্তত ১২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। এরই মধ্যে আবারও বন্যার শঙ্কা, দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে এমনটা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। চলতি মাসে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি প্রবল অবস্থায় রয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও জানান তারা।
বরিশালে গত ২৪ ঘন্টায় ১৭০ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নগরীর সিংহভাগ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে শতশত ঘরবাড়ি, মসজিদ,ফসলি জমি স্কুল ও রাস্তাঘাট। ব্যাপক ভাঙনের মুখে দিশেহারা আলাওলপুর, কোদালপুর ও কুচাইপট্টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
বান্দরবানে জেলায় কখনো ভারী আবার কখনো হালকা বর্ষন হচ্ছে টানা তিনদিন ধরে। পাহাড়ি ঢলে নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা উপজেলা ও আলীকদম এলাকায় নিম্নাচল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ঘরবাড়ি ও পানি বন্দী রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। বন্ধ হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বান্দরবানে সাঙ্গু নদী, মাতামহুরীসহ ছোট-বড় খালে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বান্দরবানে ৭টি উপজেলায় ২১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সিরাজগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার কিনারা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি। কক্সবাজারে গত কিছুদিন ভারি বর্ষন হলেও জলাবদ্ধতা কিছুটা কমেছে।